শুধু তৃণমূল ভাঙিয়েই ক্ষান্ত নন, স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন মুকুল রায়! কলকাতা জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য January 9, 2019 রাজ্য রাজনীতি আজ দুপুরের পর থেকে তোলপাড় হয়ে যায় দু-দুটি ঘটনায়। প্রথমেই, তৃণমূল কংগ্রেসের বিষ্ণুপুর লোকসভার বর্তমান সাংসদ সৌমিত্র খাঁ স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপিতে যোগদান করেন। আর এই ঘটনার পরে তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, সৌমিত্রবাবুর সঙ্গে দলের দীর্ঘদিন কোনো যোগাযোগ ছিল না, তাই সকালেই তাঁকে নাকি দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আর এই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যেতে না যেতেই তৃণমূল কংগ্রেসের বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ অনুপম হাজরাকেও দলবিরোধী কাজের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিস্কার করা হয়। এরপরেই সৌমিত্র খাঁকে পাশে বসিয়ে দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন মুকুল রায়। আর সেখানে কার্যত একের পর এক ‘বোমা’ ফাটান তিনি। প্রথমেই তিনি জানান, আজ সৌমিত্র বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, এটা সবে ট্রেলার। পুরো সিনেমা এখনও বাকী রয়েছে – ধীরে ধীরে দেখাব, একটু অপেক্ষা করুন! এই কথার রেশ মিলিয়ে যেতে না যেতেই মুকুলবাবুর পরের ‘বোমা’, খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এনডিএতে যোগ দেওয়ার জন্যে বিজেপি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি যে কথার কথা বলছেন না তা নিশ্চিত করতে এরপরে বলে ওঠেন, ইয়ার্কি মনে হচ্ছে? মমতা ব্যানার্জি এনডিএ-তে আসার জন্য খোদ যোগাযোগ রাখছেন। আসলে, মমতা ব্যানার্জি কোন দল করবেন আর কোথায় যাবেন, সেটা কেউ বলতে পারবে না। কাল উনি কী করবেন সেটা আজ কেউ বলতে পারবে না। যেটা করে তাঁর সুবিধা হবে তিনি সেটাই করবেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপর সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া সৌমিত্র খাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে মুকুলবাবু বলেন, সৌমিত্র খুব ছোট বয়স থেকে রাজনীতি করেছে – ছাত্র, যুব সংগঠন করেছে। একসময়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিল। যুব সমাজে ওর প্রভাব রয়েছে। আমি আপনাদের বলতাম (তৃণমূলের অনেকে যোগাযোগ রাখছেন), অথচ আপনারা ভাবতেন মুকুল রায় কী বলছেন! দলে (তৃণমূল কংগ্রেসে) যেভাবে দুর্নীতিরাজ কায়েম হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরব হয়ে সৌমিত্র, নরেন্দ্র মোদীর সবকা সাথ সবকা বিকাশ স্লোগানকে সামনে রেখে ভারতবর্ষের উন্নয়নে শামিল হয়েছে। এরপর বাংলায় যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই তা বোঝাতে গিয়ে মুকুলবাবু বলেন, বিজেপি বেশ কয়েকটি রাজ্যে হেরে গিয়েছে – কিন্তু, একটাও মানুষের প্রাণ যায়নি। আর পঞ্চায়েত ভোটের সময় বাংলায় ৯০ জন খুন হয়েছে, যার মধ্যে ৪৮ জন বিজেপির কর্মী। অথচ, তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করছে – বাংলায় গণতন্ত্রের জয় হয়েছে! সৌমিত্র বিষ্ণুপুরের সাংসদ – দায়িত্ব নিয়ে বলছি, পুরভোটে, পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের একটাও মনোনয়ন জমা করতে দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। সৌমিত্র প্রতিবাদ করেও কিছু করতে পারেনি – কারণ দলটা চালাচ্ছে একটা কোম্পানির ডিরেক্টর ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর! এরপরে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমন করে মুকুল রায় জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করছেন! তিনি নিজের পরিবারের দোষ দেখতে পারছেন না, তার বিরুদ্ধে তিনি কিছু বলেন না! ধৃতরাষ্ট্র যেমন দুর্যোধনের দোষ দেখতে না পেয়ে কুরু বংশের ধ্বংস করেছেন। তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল দলকে তুলে দেবেন। আজ তৃণমূলের পতনের সূত্রপাত হল। আজ সৌমিত্র বিষ্ণুপুর থেকে জেতা সাংসদ, নরেন্দ্র মোদীর বিপুল কর্মকাণ্ডে সাড়া দিয়ে শামিল হয়ে এগিয়ে যেতে বিজেপিতে যোগ দিল। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও বিধায়কদের যে দল তার একটা বড় অংশই ধীরে ধীরে বিজেপিতে চলে আসবেন। আপনার মতামত জানান -