আপৎকালীন বৈঠকে দিল্লিতে ডাক পড়ল মুকুল রায়ের, জল্পনা বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে কলকাতা জাতীয় রাজ্য December 31, 2018 আপৎকালীন ভিত্তিতে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির তরফে বাংলার দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত নেতা মুকুল রায়কে দিল্লিতে ডেকে পাঠালেন অমিত শাহ বলে সূত্রের খবর। তাঁর সঙ্গে তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এক সংখ্যালঘু নেতা সফরসঙ্গী হয়েছেন বলে জানা গেছে। আর, এই খবর সামনে আসতেই তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। আর কয়েকদিন বাদেই দিল্লিতে দেশের সমস্ত রাজ্য সভাপতি ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে অমিত শাহের মহাবৈঠক – যেখান থেকেই তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের নীল-নকশা বাতলে দেবেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বদল নিয়েও আপাতত অনীহা গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। তাহলে, কিসের জন্য এইভাবে আপৎকালীন ডাক মুকুল রায়কে? কি হতে পারে আলোচ্য বিষয়? গেরুয়া শিবিরের একাংশের মতে, আগামী ২৯ শে জানুয়ারী ব্রিগেডে সমাবেশ করতে চলেছে বিজেপি – যেখানে প্রধান বক্তা হিসাবে থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেহেতু, বিজেপির পরিকল্পিত ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ আপাতত আদালতে বিচারাধীন – তাই ওই ব্রিগেড সাভার প্রচার গোটা রাজ্যজুড়ে পরিকল্পনা করার জন্য মুকুল রায়ের ডাক পড়েছে। কিন্তু, মুকুল রায় তো রাজ্য বিজেপির কোনো সাংগঠনিক পদে নেই – তিনি তো আছেন নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটিতে। তাই ব্রিগেড নিয়ে আলোচনা করার হলে – ডাক পড়ার কথা দিলীপ ঘোষ বা সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের – মুকুল রায় কেন? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - দলের আরেকাংশের মতে, অমিত শাহের স্পষ্ট হিসাব পুনরায় কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরতে গেলে বাংলা থেকে অন্তত ২০-২৫ টি আসন পেতেই হবে। কিন্তু, অমিত শাহের পাঠানো বিভিন্ন দূতের রিপোর্ট অনুযায়ী – বাংলায় গেরুয়া শিবিরের সংগঠনের হাল খুব খারাপ – তার উপরে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের রিপোর্টও পৌঁছেছে দিল্লিতে। সবথেকে বড় কথা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জোরদার প্রচারের জন্য কোনো সংগঠিত পরিকল্পনাই হয় নি। এই পরিস্থিতিতে মুকুলবাবু নাকি গোপনে একটি সংস্থাকে দিয়ে রাজ্যের সবকটি আসনে একটি সমীক্ষা করিয়েছেন। সেই সমীক্ষায়, বহু আসন আছে অত্যন্ত কাছাকাছি ফলাফলের। এরকম কিছু আসন যেমন বিজেপির পক্ষে আছে – তেমনই কিছু আসন আছে তৃণমূলের পক্ষেও। ওই আসনগুলিতে নিশ্চিত জয় পেতে হলে – সঠিক প্রার্থী বাছাই, জোরদার প্রচার ও এখন থেকে সঠিক পরিকল্পনা দরকার। আর সেই সংক্রান্ত আলোচনার জন্যই এই বৈঠক। তবে মুকুলবাবু নতুন বছরের ২-৩ তারিখ করে দিল্লি থেকে ফিরতে পারেন, তখন এই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে ওই অংশের অভিমত। আপনার মতামত জানান -