মুখ্যমন্ত্রীকে একের পর এক কটাক্ষের পর, তৃণমূলের অস্তিত্ব শেষ হওয়ার পথে দাবি মুকুলের কলকাতা রাজ্য May 27, 2019 লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই তৃণমূল দলটা লোকসভার ফলাফল প্রকাশের পর উঠে যাবে বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য তথা বিজেপি নেতা মুকুল রায়। আর প্রত্যাশামতোই বাংলায় এবার বেশ ভালো ফল করেছে বিজেপি। 2 থেকে 18 টি আসনে দাঁড়িয়েছে তারা। অন্যদিকে তৃণমূল বিগত 2014 সালের 34 টা আসন পেলেও এবার তাদের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে 22 টিতে। আর বাংলায় পদ্ম ফোটানোর মূল কারিগর হিসেবে পরিচিত মুকুল রায় লোকসভায় গেরুয়া ঝড় উঠলেও খুশি হওয়া অপেক্ষা ভবিষ্যতে 2021 সালে বিধানসভাই যে তার কাছে মূল টার্গেট এখন তা পরোতে পরোতে বোঝাতে শুরু করেছেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যে বিজেপি ভালো ফল করলেও বেশকিছু আসনে রিগিং হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, “ঘাটাল লোকসভায় এক একটা বুথের 782 টি ভোট। সেখানে 780 টি তৃণমূল পেয়েছে। কোনো জায়গায় বিজেপি শূন্য পেয়েছে। নির্বাচনে যে তৃণমূল রিগিং করেছে এটা তারই প্রমাণ। আমরা এগুলো নিয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হব।” এদিকে রাজ্যে তৃণমূলের ভরাডুবির পর হার পর্যালোচনা নিয়ে কালীঘাটের বাসভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতা, মন্ত্রী, সাংসদদের বৈঠক ডাকলে সেখানেই প্রেস কনফারেন্স করে তিনি পদত্যাগ করবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করলে এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রাক্তন নেত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, “আসলে এই দলে কে কার কাছে ইস্তফা পত্র দেয়, সেটাই পরিষ্কার নয়। উনি নিজেই ইস্তফা লিখছেন, আবার নিজেই ইস্তফা পত্র জমা দিচ্ছেন। এই সবই ওনার নাটক। কাগজের হেডলাইনের জন্যই উনি মিথ্যা কথা বলছেন।” অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর ইফতারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেও এদিন মমতাকে একহাত নিয়ে মুকুল রায় বলেন, “উনি ইফতারে একাধিকবার যান। আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সকালে ইলিশ মাছ ভাত খেয়ে রাতে ইফতার ভাঙাতে যাওয়া কি ঠিক! উনি মুসলিম ভাইদের গরু বললেন, এটা সত্যিই অনুচিত। মানুষ এর জবাব দেবে।” অন্যদিকে তৃণমূলের পর্যালোচনা বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডানা ছাটা নিয়ে তিনি কি খুশি? এদিন এই প্রশ্নের উত্তরে মুকুল রায় বলেন, “অভিষেকের সঙ্গে আমার কোনদিন দুঃসম্পর্ক ছিল না। ও বাচ্চা ছেলে। ওকে কেন আপনারা দোষারোপ করছেন!” পাশাপাশি আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস দলটা উঠে যাবে বলেও এদিন আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা যায় বঙ্গ রাজনীতির এই চাণক্যের গলায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মুকুল রায় একদম শেষ সারিতে থাকা কর্মীদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর রাখেন। তৃণমূলে থাকার সময়ও তিনি সেই কাজটাই করতেন। আর এটাই মুকুল রায়ের ইউএসপি। ফলে বিজেপিতে যাওয়া সেই মুকুল রায় এবার রাজ্যে পরিবর্তন আনতে তার রাজনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করে বাংলায় পদ্ম ফোটানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি সেই কাজে কতটা সফলতা অর্জন করতে পারেন এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -