লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় 18 টা আসন পাওয়ার পরই রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণে বদল আসতে শুরু করে। যেখানে প্রায় সমস্ত পৌরসভা, পঞ্চায়েত, জেলাপরিষদ ও বিধানসভা তৃণমূলের দখলে থাকলেও একের পর এক বিধানসভার বিধায়ক, পৌরসভার কাউন্সিলর এবং জেলা পরিষদের সদস্যরা বিজেপির ঝান্ডা ধরেন।

কিন্তু সম্প্রতি যে সমস্ত পৌরসভার কাউন্সিলররা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তারা আবার ফিরে আসতে শুরু করেছেন। যার ফলে সেই পৌরসভা তৃণমূলের দখলে চলে গিয়েছে। আর তাতে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।

কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর নেতৃত্বে ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ 11 জন সদস্য বিজেপি থেকে আবার তৃণমূলে যোগ দেন।

এই ধাক্কা বিজেপি সামলাতে না সামলাতেই ফের বড় ধাক্কা খেলো গেরুয়া শিবির সমেত মুকুল রায় । বনগাঁ পুরসভা ফের পুনদখল করল তৃণমূল। বিজেপিতে যাওয়া চার কাউন্সিলরকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে ঘর-ওয়াপসি চার কাউন্সিলরের।

প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন আগে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন এই চার কাউন্সিলর। মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে আসেন তাঁরা। কিন্তু সময় ঘুরতে না ঘুরতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন চার কাউন্সিলর।

এদিকে নিজেদের দলে নিজেদের দলীয় সদস্যদের ফিরিয়ে আনতে পেরে এখন উজ্জীবিত ঘাসফুল শিবির। যদিও বা এই গোটা ঘটনায় তৃণমূল প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে চাপ সৃষ্টি করে এই সদস্যদের নিয়ে গিয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। সব মিলিয়ে ফের ঘর ওয়াপসির ঘটনায় চাঞ্চল্য রাজ্যে।