এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুল রায়ের চাণক্যনীতি এবার প্রকাশ্যে এসে পড়ায় উদ্বেগে তৃণমূল সহ বাকিরা? জল্পনা তুঙ্গে

মুকুল রায়ের চাণক্যনীতি এবার প্রকাশ্যে এসে পড়ায় উদ্বেগে তৃণমূল সহ বাকিরা? জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2017 সালের তৃণমূলের সেকেন্ড হ্যান্ড ইন কমান্ড মুকুল রায় তৃণমূল শিবির ছাড়েন। সেই সময় থেকেই মুকুল রায় গেরুয়া শিবিরে রয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর সাথে কিন্তু তৃণমূল থেকে কংগ্রেস হয়ে বামেদের অনেক নেতারই সুসম্পর্ক বর্তমান এখনও। আর সেই সূত্রেই মুকুল রায় তাঁর অনুগামীদের সম্পর্কে যথেষ্ট অবহিত এবং অনেকেই নিজেদের দলে থেকে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে মুকুল রায়ের নির্দেশে। সদ্যই একথা প্রকাশ্যে এনেছেন একদা কংগ্রেসের বিধায়ক বর্তমানে বিজেপিতে যোগদানকারী সুদীপ মুখোপাধ্যায়। ফলস্বরূপ বিজেপির হাতে এসেছে রাজ্যের 18 টি আসন। আর তারপর থেকেই একুশের স্বপ্ন দেখা শুরু।

যথারীতি মুকুল রায়ের কর্মপদ্ধতি দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশি গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই একুশের যুদ্ধেও মুকুল রায়ের ওপরেই যাবতীয় ভরসা পদ্ম শিবিরের বলে মনে করা হচ্ছে।  2017 সালে মুকুল রায় যখন তৃণমূল ছাড়েন, সেই সময় তৃণমূল শিবির থেকে বেশ কিছু নেতা মুকুল রায়ের হাত ধরে বেরিয়ে যান। কিন্তু সবাই যে বেরিয়েছে, তা কিন্তু নয়। অনেকেই কিন্তু দলে থেকে মুকুল রায়ের হয়ে কাজ করেছেন। যার ফলে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের শক্তি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। পাশাপাশি অন্য দলের ভোট বিজেপির দিকে টেনে এনেছিলেন মুকুল রায় রীতিমতো চাণক্য স্টাইলে।

আর এই কথা এতদিনে প্রকাশ পেয়েছে পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের কথায়। বিশেষজ্ঞরা অনেকেই মনে করছেন, তৃণমূল শিবিরের কুড়ি বছর মুকুল রায় সংগঠন চালিয়েছেন। জেলায় জেলায় তিনি সমান্তরাল দল চালিয়েছেন একসময়। এরকম অনেক নেতাই আছেন, যারা জেলা সভাপতি নয়, মানতেন সেসময় মুকুল রায়কে। আজও তাঁরা মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই সবটাই জানা গেছে পুরুলিয়া কাশিপুর এর বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের কথায়। তিনি জানিয়েছেন, মুকুল রায়ের নির্দেশে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসে থেকেই বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। আর মুকুল রায়ের কর্মপদ্ধতি প্রকাশ্যে আসার ফলে রাজনৈতিক মহলের শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি তৃণমূলসহ রাজ্যের অন্যান্য দলগুলি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এখনো এমন অনেক নেতা আছে, যারা দলে থেকে বিজেপির হয়ে কাজ করতে পারেন একুশে। সবদিক থেকে মুকুল রায় এই মুহূর্তে বাংলার অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কাছে চূড়ান্ত মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন বলে মনে করা হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত তৃণমূল বারবার বলে এসেছে, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে এতগুলি আসন পাওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই গেরুয়া শিবিরের যোগসাজশ ছিল। আর সে কথাই এবার প্রমাণিত হলো বিজেপিতে যোগদানকারী পুরুলিয়ার বিধায়কের কথায়।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন মুকুল রায় কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না। কারণ তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ 21 এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদ দখল করে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বের কাছে উপহারস্বরূপ পেশ করা। তবে মুকুল রায়ের গুপ্তযুদ্ধ প্রকাশ্যে আসার পর এবার হয়তো রাজ্যের অন্যান্য দলগুলি হয়ে উঠবে অতি সাবধানী। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, তাতেও কি বিজেপিকে আটকানো যাবে? কারণ মুকুলের পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরে ঢুকেছেন আরও এক জনপ্রিয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। অতএব গেরুয়া আক্রমণ তৃণমূল কিভাবে সামলায়, সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!