এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুকুলকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের অজান্তেই কি বিপদ ডেকে আনছেন স্পিকার? আদালতের নির্দেশে বাড়ছে জল্পনা

মুকুলকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের অজান্তেই কি বিপদ ডেকে আনছেন স্পিকার? আদালতের নির্দেশে বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। তবে, ভোটের ফলাফলের পরই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন তিনি। এরপর তাঁকে করা হয়েছে বিধানসভার পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। আর এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগে বিলম্ব করছেন বিধানসভার স্পিকার। এবার আদালতের পক্ষ থেকে দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে স্পিকারকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মুকুল রায়কে বাঁচাতে গিয়ে এবার অজান্তেই নিজের বিপদ ডেকে আনতে পারেন বিধানসভার স্পিকার।

গতকাল হাইকোর্টে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের মামলার শুনানি চলে। এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ এর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, আগামী ৭ ই অক্টোবরের মধ্যে মুকুল রায়কে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিধানসভার স্পিকারকে। এই সময়ের মধ্যে যদি স্পিকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না জানান, তবে, এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কলকাতা হাইকোর্ট।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এখানেই শেষ নয়। স্পিকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেওয়ার পরও ফাইল চেপে রেখেছেন বিধানসভার স্পিকার। নিজের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন না তিনি। সম্ভবত, করোও পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করছেন বিধানসভার স্পিকার। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করার তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে হয় স্পিকারকে। কিন্তু তা তিনি করেননি।

আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, গত ১৬ ই সেপ্টেম্বর মুকুল রায়ের তিন মাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরও বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রেখেছেন বিধানসভার স্পিকার। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শুনানিতে উপস্থিত থাকতে দেখা যাচ্ছে না মুকুল রায়কে। তবে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ৭ ই অক্টোবর সময়সীমার মধ্যে স্পিকার সিদ্ধান্ত না নেন, তবে এ বিষয়ে আদালত নিতে চলেছে পরবর্তী পদক্ষেপ।

এদিকে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে যে, দেশের সর্বত্র বিধানসভায় দলত্যাগ বিরোধী আইন চালু আছে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় তা করতে দেখা যায়নি বিধানসভার স্পিকারকে। গত ১০ বছরের মধ্যে ৫০ জন বিধায়ক দলবদল করেছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো রকম পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বিধানসভার স্পিকারকে। তবে, এবার এই বিষয়ে যেভাবে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে আদালত। আদালতে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে যদি মুকুল রায়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেন বিধানসভার স্পিকার, তবে আদালত নিতে পারে বড়োসড়ো পদক্ষেপ। তাই এবার বিপাকে পড়তে পারেন স্পিকার, এমনটাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!