এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মার খেল মুকুল পুত্রের সমর্থক, জোর চাঞ্চল্য এলাকায়

বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মার খেল মুকুল পুত্রের সমর্থক, জোর চাঞ্চল্য এলাকায়


লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি এবং বিজেপির প্রবল উত্থানের পরই শাসকদলের একাধিক জনপ্রতিনিধি বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেন। কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের পুত্র তথা বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় ঘাসফুলের পতাকা ছেড়ে পদ্মফুলের পতাকা নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন।

আর এরপরই অনেকে ভেবেছিলেন যে, এবার হয়তো বীজপুরে বিজেপির সংগঠনের কাছে তৃণমূল কুপোকাত হয়ে যাবে। এমনকি পিতা মুকুল রায়ের পর পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও বিজেপিতে যোগদান করার চিন্তিত হয়ে পড়ে রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছেন শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা, এবার সেই একইভাবে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হতে দেখা গেল খোদ মুকুল রায়ের গড় বলে পরিচিত কাঁচরাপাড়া এলাকাকে।

সূত্রের খবর, গত শুক্রবার কাঁচরাপাড়ার কলেজ মোড়ে কাছে একটি ক্লাবের দখল নিয়েই এই গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়েছিল। জানা যায়, এই ক্লাবটি দীর্ঘদিন ধরেই বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের দখলে থাকায় সম্প্রতি তিনি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানোয় সেই ক্লাবের সদস্যরাও বিজেপি সমর্থক হয়ে যান।

ক্লাবের সদস্যদের অভিযোগ, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর পাঁচ থেকে ছয় জন এই ক্লাবের সামনে গল্প করার সময় হঠাৎই ছটি মোটর বাইক এসে প্রায় 16 জন ক্লাবের সদস্য পিন্টু কুন্ডু এবং অভিজিৎ কুণ্ডুদের ওপর চড়াও হয়। আর সেখানেই তাদের ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

এলাকা সূত্রের খবর, এই পিন্টু কুন্ডু এবং অভিজিৎ কুণ্ডু শুভ্রাংশু রায়ের অনুগামী বলেই পরিচিত। তবে শুভ্রাংশুবাবু বিজেপিতে প্রবেশ করায় তারাও বর্তমানে গেরুয়া শিবিরের সমর্থক। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই ক্লাব দখল করবার জন্য বিজেপির একাংশ তৎপর থাকায় এদিন তাদের ওপর গেরুয়া শিবিরের অনেকে আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ করেন এই শুভ্রাংশু রায়ের অনুগামীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে পিন্টু কুন্ডু এবং অভিজিৎ কুণ্ডু বলেন, “আমাদের বিধায়কের ছবি দেওয়া কিছু ব্যানার সম্প্রতি ক্লাবে আসলে আমরা সেগুলো এলাকায় টাঙাই। ক্লাব দখল করতে না পেরে এবং আমরা শুভ্রাংশু রায়ের হয়ে কাজ করাতেই আমাদের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।”

এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে সকলে সরব হলে এতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। কিন্তু সত্যিই কি এর পেছনে তাহলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে? এদিন এই প্রসঙ্গে সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় বলেন, “আমি এই ব্যাপারে কিছু জানি না, তাই এই নিয়ে কিছু মন্তব্য করব না।”

কিন্তু অনেকেই বলছেন যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য এখন বিজেপিতে আসতে শুরু করেছেন সকলে, সেই বিজেপিতেও যদি আদি এবং নব্যের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, তাহলে বঙ্গ রাজনীতিতে যে একটি দলেই দুমুখো নীতির রেওয়াজ তৈরি হচ্ছে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কায় প্রায় প্রত্যেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!