এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মুকুল তৃণমূলে ফিরতেই ত্রিপুরা নিয়ে তৎপরতা পদ্মের, কটাক্ষ ঘাসফুলের!

মুকুল তৃণমূলে ফিরতেই ত্রিপুরা নিয়ে তৎপরতা পদ্মের, কটাক্ষ ঘাসফুলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড থাকার সুবাদে সর্বভারতীয় রাজনীতি দেখভাল করতেন মুকুল রায়। কিন্তু সেই মুকুল রায় 2017 সালে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর শুধু বাংলা নয়, ভিন রাজ্যে যেখানে তাকে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই রাজ্যের সংগঠন নিয়েও যথেষ্ট চিন্তার মুখে পড়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস‌। পরবর্তীতে যেমন বাংলায় তৃণমূলের অনেক নেতা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন, ঠিক তেমনই যে ত্রিপুরার দায়িত্বে ছিলেন মুকুল রায়, সেই ত্রিপুরাতেও তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙ্গন ধরে। সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে একাধিক নেতা যোগদান করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে।

কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতির আবার পরিবর্তন হয়েছে। মুকুল রায় ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে এখন যোগদান করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। স্বাভাবিক ভাবেই ততার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার ঘটনা এখন চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে বিজেপির অন্দরে। শুধু বাংলা নয়, ত্রিপুরাতেও বিজেপিতে ব্যাপক ভাঙন ধরাতে পারেন মুকুলবাবু বলে মনে করা হচ্ছে। তাই তড়িঘড়ি সংগঠন ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সেই ত্রিপুরা নিয়ে বৈঠক করতে শুরু করলেন।

মূলত সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে একাধিক বিধায়ক মুকুল রায়ের পথে হেটে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর যদি তা হয়, তাহলে ত্রিপুরায় সরকার টিকে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়ে যাবে। তাই নিজেদের সরকার যাতে ক্ষমতায় থাকে এবং বিদ্রোহী বিধায়করা যাতে কোনোমতেই মুকুল রায়ের পথে হেঁটে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান না করেন, তার জন্যই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ত্রিপুরা নিয়ে এই তৎপরতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ত্রিপুরায় গিয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আর তা থেকেই স্পষ্ট যে, মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যাওয়ার পর তাকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কাজে লাগাবে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যদি মুকুল রায়কে তৃণমূল কংগ্রেস কাজে লাগাতে শুরু করে, তাহলে তিনি প্রথমেই নজর দেবেন ত্রিপুরার দিকে। কেননা তৃণমূলে থাকার সময়ে ত্রিপুরার সংগঠন দেখভাল করতেন মুকুল রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বর্তমানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে খুব একটা ভালো সম্পর্ক নেই বিজেপি নেতা সুদীপ রায় বর্মন সহ একাধিক বিধায়কের ফলে। তারা মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরে আসার পর তারাও তৃণমূলে শামিল হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সেই চেষ্টা যাতে সফল না হয়, তার জন্য এখন তড়িঘড়ি ত্রিপুরায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলীয় নেতাদের নিয়ে বিজেপির এই বৈঠক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও বা তাকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “আমরা বাংলার বাইরে সংগঠন বিস্তার করব। আমি ত্রিপুরা নিয়ে উৎসাহ দেখেছি। আমাদের দল সিদ্ধান্ত জানাবে।”

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের পরই সংগঠনকে নতুনরূপে সাজাতে শুরু করেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আর তারপরেই বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল এখন সংগঠনকে বিস্তার করতে বাংলার পাশাপাশি যে অন্য রাজ্যের নজর দিতে শুরু করবে এবং এক্ষেত্রে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্য করবেন মুকুল রায়, তা বলাই যায়। সেদিক থেকে ত্রিপুরা এখন সবথেকে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে।

কেননা ত্রিপুরায় তাদের সরকার রয়েছে। তাই সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে যদি একাধিক বিধায়ক বিজেপি ত্যাগ করেন, তাহলে তাদের সরকার টেকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়ে যেতে পারে। তাই সেই বিষয়টি মাথায় রেখে বিজেপির এই বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বা দলীয় বৈঠক থেকে শুরু করে রণনীতি করে দল ভাঙানোর কৌশল কতটা আটকাতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!