এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মুকুল তৃণমূলে যেতেই চাপ বাড়ল কৈলাসের, পদ হারানোর আশঙ্কায় হেভিওয়েট শীর্ষ নেতা!

মুকুল তৃণমূলে যেতেই চাপ বাড়ল কৈলাসের, পদ হারানোর আশঙ্কায় হেভিওয়েট শীর্ষ নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে 2017 সালে বিজেপিতে যোগদান করার পর ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন মুকুল রায়। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তার সেতুবন্ধনের অন্যতম কারিগর ছিলেন বাংলার বিজেপির অন্যতম পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রাজ্যে মুকুল রায়কে গুরুত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে কেন্দ্রের কাছে তার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া, সব কিছুই করতেন কৈলাসবাবু। বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যখন মুকুল রায়ের বনিবনা হচ্ছে না বলে খবর পাওয়া যায়, ঠিক তখনই মুকুল রায়কে ছেঁটে ফেলা সম্ভব নয় বলে দাবি করেন তার অনুগামীরা।

এক্ষেত্রে তারা যুক্তি দেন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মত কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়ের পাশে রয়েছেন। অর্থাৎ বঙ্গ বিজেপিতে মুকুল রায় যে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র অনুগামী বলেই পরিচিত ছিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু যে মুকুল রায়কে এত গুরুত্ব দিতেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং যার জন্য মুকুল রায় বিজেপিতে সর্বভারতীয় সভাপতির মত জায়গা পেয়েছিলেন, সেই মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরে আসার পর সেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র চাপ ক্রমশ বাড়ছে।

ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ যেতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্য নেতারা। কিন্তু এবার বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননকে সরানোর দাবি জানিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেওয়া হল। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত টালমাটাল গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহল।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আসানসোল জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেখানে বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের জন্য সদ্য তৃণমূলে যাওয়া মুকুল রায়কে দায়ী করার পাশাপাশি কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং অরবিন্দ মেননকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। বলা বাহুল্য, মুকুল রায়কে সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি গুরুত্ব না দিলেও, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মত দক্ষ নেতার চোখ দিয়েই বাংলার সংগঠন দেখতেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহরা। কিন্তু ভোটের ফলাফলের দিন থেকেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ক্ষমতা খর্ব হওয়ার আশঙ্কা করা হয়।

আর তার মাঝেই গোদের ওপর বিষফোঁড়া হিসেবে বঙ্গ বিজেপিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় যাকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতেন, সেই মুকুল রায় তার পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যেতে না যেতেই কৈলাসবাবুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন অনেকে। আর এবার আসানসোল জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে রীতিমত চিঠি দিয়ে পর্যবেক্ষক এবং সহ পর্যবেক্ষক থাকা দুই নেতাকে সরানোর দাবি উঠল। অর্থাৎ একদম নীচুতলায় যে এই দুই শীর্ষ নেতা সম্পর্কে ক্ষোভ বাসা বেঁধেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে আসানসোল জেলা বিজেপির সভাপতি লক্ষন ঘোড়ুইকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বিজেপির মধ্যে। বস্তুত, মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যাওয়ার পরেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং মুকুল রায়ের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তথাগত রায়। যেখানে এক দলীয় কর্মীর স্ট্যাটাস অনুবাদ করে তিনি লেখেন, “মমতা আন্টি, এবার একেও নিয়ে যান।” আর সেই সময় থেকেই কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ও যে মুকুল রায়ের দলত্যাগের ফলে যথেষ্ট চাপে পড়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিজেপিতে মুকুল রায় যোগদান করার পর থেকেই সব সময় কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে তাকে দেখা যেত। এমনকি দলের বিভিন্ন রণনীতি ঠিক করা থেকে শুরু করে তৃণমূল থেকে কাদের বিজেপিতে যোগদান করাতে হবে, তার সমস্ত কিছু কৈলাসবাবু এবং মুকুলবাবু মিলেই করতেন বলে দাবি একাংশের। তবে এর ফলাফল যে ভালো হয়নি, এখন তা বুঝতে পারছেন বিজেপি নেতারা। আর সেই কারণেই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারায় গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার পর সেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে নিয়ে একদম নীচুতলা থেকেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

স্বাভাবিক ভাবেই এর ফলে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চোখে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কৈলাস বিজয়বর্গীয় বাংলার দায়িত্ব থেকে সরে যেতে পারেন বলে সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আসানসোল জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে পাঠানো এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!