এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে এলেও দল পরিবর্তন নয়, নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন হেভিওয়েট বিধায়ক!

মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে এলেও দল পরিবর্তন নয়, নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন হেভিওয়েট বিধায়ক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্দিনের সৈনিক ছিলেন তিনি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যুক্ত হতে দেখা যায় কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে। যার জেরে রীতিমত হতচকিত হয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের মিহির গোস্বামীর মত বর্ষিয়ান বিধায়ক এভাবে দলত্যাগ করতে পারেন, তা অনেকেই কল্পণা করতে পারেননি। তবে শেষপর্যন্ত দিল্লিতে গিয়ে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান তিনি।

এমনকি 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজিত করে সেখান থেকে জয়লাভ করেন মিহিরবাবু। তবে তৃণমূলে থাকার সুবাদে মুকুল রায়ের সঙ্গে তার অত্যন্ত ভালো সখ্যতা ছিল। তাই বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পর সম্প্রতি সেই মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলে বিজেপিতে ভাঙ্গন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এক্ষেত্রে মুকুলবাবু তার ঘনিষ্ঠ নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের ফোন করে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন বলে খবর। আর সেই তালিকায় মিহির গোস্বামীর নাম থাকা নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছিল কোচবিহার জেলা বিজেপির অন্দরে। কিন্তু মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখালেও এবং তাকে নিয়ে নানা জল্পনা চলতে শুরু করলেও, তিনি যে দলবদল করছেন না, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে কুণাল ঘোষকে দলের মুখপাত্রের পাশাপাশি সম্পাদক করা হয়। অন্যদিকে বামেদের দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি করা হয়। আর সেই বিষয়টি তুলে ধরে তাদের অতীতের করা মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ফেসবুকে সরব হন মিহির গোস্বামী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে তিনি লেখেন, “সত্যি বাংলার রাজনীতিতে এ এক তুলনাবিহীন আশ্চর্য দল। আমরা দেখেছি, রাজ্যের সম্মানীয় শিক্ষিত অর্থমন্ত্রীর ধুতি ধরে টানাটানি করলে পরে তার ইনাম হিসেবে সেই দলে সমাদরে শ্রমিক না হয়েও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি হওয়া যায়।” আর এরপরই কুণাল ঘোষের নাম না করে মিহির গোস্বামী লেখেন, “ওই সাংসদ জামিন পেয়ে দলের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ তোলেন। বাদ যায়নি দলের সুপ্রিমো। তাকে আবার পরে দলের মুখপাত্র করা হয়। গত দুই দশক ধরে আমরা আরও এমন অনেক সার্কাস দেখেছি এই দলে। এই দলের ভোটে দাড়িয়ে হেরে গেলে পদ মেলে। গাড়ি মেলে, নীল-লালবাতি মেলে। কিন্তু জিতে গেলে সেসব নাও মিলতে পারে। এদল ছেড়ে গেলে অবশ্যই সে গদ্দার। কিন্তু ফিরে এলে সে আর কিছুতেই গদ্দার নয়। কোনোদিন এই দলের কাছ থেকে যদি নুন্যতম সম্মানটুকু আশা করেন, তবে উত্তর পাবেন, নো নেভার।”

অর্থাৎ নিজের এই ফেসবুক পোস্টের মধ্যে দিয়ে তৃণমূলের বিরোধীতা যেমন বজায় রাখলেন মিহির গোস্বামী, ঠিক তেমনই তিনি যে দলবদল করছেন না, তা কার্যত বুঝিয়ে দিলেন এই বিজেপি বিধায়ক। এদিন দলবদলের জল্পনা প্রসঙ্গে মিহির গোস্বামী বলেন, “আমি আগেই জানিয়ে দিয়েছি, দলবদলের কোনো প্রশ্ন নেই। আর আমার যা বক্তব্য, তা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে লিখেছি।”

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যুক্ত হয়েছিলেন, তারা এখন সকলেই তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার জন্য অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। আর মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যুক্ত হওয়ার পর সেই প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে‌। সেদিক থেকে তৃণমূলের দীর্ঘদিনের বিধায়ক থাকা মিহির গোস্বামীকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। মুকুল রায়ের তালিকায় যদি তার নাম থাকে, তাহলে তার কাছে যদি ফোন আসে, তবে তিনিও কি দলবদল করবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে তা সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়ে নিজের ফেসবুক পোস্টের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল বিরোধিতা বজায় রাখেন মিহির গোস্বামী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!