এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মুকুলের কারণেই কি বড়সড় সুখবর পেতে চলেছেন দুই বিজেপি সাংসদ? জোর গুঞ্জন!

মুকুলের কারণেই কি বড়সড় সুখবর পেতে চলেছেন দুই বিজেপি সাংসদ? জোর গুঞ্জন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – টার্গেট ছিল, বাংলায় ক্ষমতা দখল করা। কিন্তু সেই টার্গেটে পৌছতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমনকি স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহরাও আশাবাদী ছিলেন বাংলা নিয়ে। তবে তাদের সেই আশায় জল পড়ে গিয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলার ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর বাংলা দখল করার পরেই তৃণমূল যাতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে এবং 2024 সালের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে, তার জন্য এখন থেকেই কর্মসূচি তৈরি করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির।

অর্থাৎ বাংলা দখল করার পর এবার তৃণমূলের টার্গেট যে দিল্লি দখল, তা নেতা-কর্মীদের টুইট থেকে শুরু করে নানা বক্তব্যের মধ্য দিয়েই পরিষ্কার। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপিও বাংলা নিয়ে আশা ছাড়ছে না। আর সেই কারণেই 2024 এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সম্প্রসারণ করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সম্প্রসারণের জল্পনা তৈরি হতেই বাংলার দুই বিজেপি সাংসদের কপাল খোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বাংলার দুই বিজেপি সাংসদ জায়গা পেতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। যার সৌজন্যে মুকুল রায় বলেই মনে করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হতে পারে। আর সেখানেই অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাতে বাড়তি নজর দিতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যেখানে বাংলা থেকে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এবং বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর এই সম্ভাবনার খবর চাউর হতে না হতেই এর পেছনে মুকুল রায়ের সুকৌশলী রাজনৈতিক ক্যারিশমা রয়েছে বলেই দাবি করা হচ্ছে‌।

অনেকে বলছেন, এই মুকুল রায়ের হাত ধরেই শান্তনু ঠাকুর এবং নিশীথ প্রামানিক তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে আবার নিজের পুরাতন ঘর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছেন। আর তারপরেই তার হাত ধরে যারা পদ্মফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন, তারা আবার ঘাসফুল শিবিরে ফিরে যেতে পারেন বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই সেই তালিকায় জল্পনার একদম শীর্ষে ছিলেন নিশীথ প্রামানিক থেকে শুরু করে শান্তনু ঠাকুরের মত একাধিক নেতৃত্বরা। এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। তার মধ্যে যদি হেভিওয়েট সাংসদরাও যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে আরও চাপের মুখে পড়েতে হতে পারে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। তাই অবস্থাকে সামাল দিতেই এবার মুকুল রায়ের দল ভাঙানোর টোপে যাতে কোনো বিজেপি সাংসদ পা না বাড়ান, তার জন্যই জল্পনার শীর্ষে থাকা এই দুই সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে আবার এর পেছনে অন্য যুক্তি দিতে শুরু করেছেন। একাংশের দাবি, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে 18 টি আসন পেয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু বাংলার মানুষ তাদের সমর্থন করার পরেও, বাংলাকে গুরুত্ব না দিয়ে সেখান থেকে মাত্র দুজন সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছিল। তবে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিলেও, বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে পূর্ণমন্ত্রী করা হয়নি। যা নিয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এতেই প্রমাণিত, বিজেপি বাংলাতে কতটা নীচু চোখে দেখে।

বিধানসভা নির্বাচনেও বাংলার সংস্কৃতি থেকে শুরু করে আদর্শের কথা তুলে ধরে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর এই পরিস্থিতিতে 2024 এর লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তৃণমূলের বক্তব্যের জবাব দিতে বাংলার দিকে বাড়তি নজর দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই বাংলার দুই বিজেপি সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টায় মোদী-শাহেরা বলেই মত বিশেষজ্ঞদের‌। শেষ পর্যন্ত দুই সাংসদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জল্পনা তৈরি হলেও, এই ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!