পুরভোট নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত রাজ্য বিজেপি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অমিত শাহের! কলকাতা রাজ্য March 1, 2020 লোকসভায় সাফল্য পাওয়ার পর পৌরসভা বিজেপির কাছে সেমিফাইনাল এবং তারপর 2021 এর বিধানসভা তাদের কাছে ফাইনাল ম্যাচ হিসেবে পরিণত হয়েছে। প্রথম থেকেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পৌরসভা নির্বাচন না করানোয় তা করানোর দাবিতে সরব হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু এখন যখন রাজ্য সরকার সেই নির্বাচন করাতে চাইছে, তখন প্রচারের কথা তুলে ধরে সেই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলছে বঙ্গ বিজেপি। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়ে এই ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি প্রতিনিধি দল। বস্তুত, রাজ্য সরকার চাইছে, আগামী 12 এপ্রিল কোলকাতা, হাওড়া এবং তারপর 26 এপ্রিল রাজ্যের বাকি পৌরসভাগুলো নির্বাচন করাতে। আর এখানেই আপত্তি রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির। তাদের দাবি, এই সময় নির্বাচন হলে তার আগে পরীক্ষা থাকার কারণে তারা ঠিকমত প্রচারের সময় পাবে না। কিন্তু বিজেপির এক পক্ষ এই কথা বললেও, পৌরভোট নিয়ে অন্য চিন্তা ভাবনা করছে বিজেপির আরেকপক্ষ। যা নিয়ে এখন কার্যত দ্বিধা-বিভক্ত বঙ্গ বিজেপি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, বিজেপির একাংশ চাইছেন, পৌরসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা নিয়ে রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাক দল। অন্যদিকে অন্য পক্ষের দাবি, আদালতে না গিয়ে যবে নির্বাচন হচ্ছে, তার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সরাসরি লড়াইয়ে নামা উচিত। কেননা লোকসভা নির্বাচনের সাফল্য পাওয়ার পর যদি পৌরসভায় আদালতে যাওয়া হয়, তাহলে শাসকদলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে বিজেপি ভয় পাচ্ছে বলে প্রচার করা হতে পারে। তাই সেই দিকটা যাতে শাসক পক্ষ তুলে ধরতে না পারে, তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামা উচিত বলে মনে করছে বিজেপির একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপি পৌরসভা ভোট নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাওয়ায় কি হবে তাদের অবস্থান, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। জানা গেছে, আগামী 29 ফেব্রুয়ারি কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা হেভিওয়েট বিজেপি নেতা অমিত শাহ। তাই এক্ষেত্রে অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে কথা বলেই নিজেদের অবস্থান ঠিক করে নিতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনিতেই এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরাতন বনাম নতুন বিজেপি কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই পৌরসভা নির্বাচন নিয়েও যদি বিজেপির অভ্যন্তরীণ মতামত এবং দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে, তাহলে শাসক দল সেই দিকটি তুলে ধরে বিজেপিকে চাপে ফেলতে পারে। তাই এখনই এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু না বলে শীর্ষ নেতৃত্বের উপরেই সমস্ত কিছু ছেড়ে দিতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। এখন শেষ পর্যন্ত পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপির লড়াই করার ব্যাপারে শীর্ষ নেতৃত্ব কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে বলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -