এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেয়াদ ফুরোনো পুরসভা তুমি কার? প্রশাসকের নাকি প্রাক্তন চেয়ারম্যানের? তীব্র চাঞ্চল্য শাসকদলের অন্দরেই!

মেয়াদ ফুরোনো পুরসভা তুমি কার? প্রশাসকের নাকি প্রাক্তন চেয়ারম্যানের? তীব্র চাঞ্চল্য শাসকদলের অন্দরেই!

ইতিমধ্যেই প্রশাসক নিয়োগ হয়ে গিয়েছে বহরমপুর পুরসভায়। বৃহস্পতিবার প্রশাসকের হাতে সমস্ত দায়িত্বভার তুলে দিয়েছেন পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তৃণমূলের নীলরতন আঢ্য। কিন্তু দায়িত্ব তুলে দিয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি সপ্তাহে অন্তত চার দিন পুরসভায় আসার কথাও জানিয়েছেন এই বিদায়ী চেয়ারম্যান। আর এই ঘটনাতেই এখন তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে বহরমপুর পৌরসভার অন্দরে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2013 সালের 12 ডিসেম্বর এই বহরমপুর পৌরসভা দখল করে কংগ্রেস। আর সেই সময় চেয়ারম্যান হন নীলরতন আঢ্য। পরবর্তীতে 2016 সেপ্টেম্বর মাসে সেই নীলরতনবাবু তাঁর 17 জন কাউন্সিলরকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেই বহরমপুর পুরবোর্ড দখল করে তৃনমূল।

কিছু গত বুধবারই সেই পুরোবোর্ডের মেয়াদ শেষে সেখানকার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বহরমপুর সদরের মহকুমাশাসক। আর মেয়াদ শেষের দিনই প্রাক্তন চেয়ারম্যান সহ দলের অন্যান্য কাউন্সিলরদের সংবর্ধনা দেয় তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মুর্শিদাবাদ জেলা পৌর কর্মচারী ইউনিয়ন। ফুলের তোড়া ও স্মারক দিয়ে দলের সমস্ত কাউন্সিলরদের ভালো কাজের জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এদিন এই প্রসঙ্গে পৌর কর্মচারী ইউনিয়নের জেলা সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “দক্ষতার সহকারে প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলররা পৌরসভা পরিচালনা করেছেন। তাই তাদের সংবর্ধিত করা হল‌।” কিন্তু হঠাৎ করে পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্য মেয়াদ শেষের পরও কেন সপ্তাহে অন্তত চার দিন পুরসভায় আসার কথা বললেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

অনেকেই বলছেন, পুরসভার কর্মী নিয়োগ নিয়ে অনেক কাজের অনিয়ম যাতে প্রকাশ্যে চলে না আসে সেই জন্যই বিদায়ী চেয়ারম্যান নিজের হাতেই পুরসভার রাশ রাখতে চাইছেন। এদিকে এই সমস্ত অভিযোগ মানতে নারাজ বহরমপুর পৌরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্য।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন তিনি বলেন, “নিয়মিত পুরসভায় অডিট করা হয়েছে। কোনো অডিটের অনিয়ম ধরা পড়েনি। সুতরাং এই অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়। আমি পুরসভায় নিয়মিত আসব। এই শহরে নাগরিক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে যা সাহায্য দরকার তা করতে আমি রাজি আছি।” সব মিলিয়ে এবার মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভা ঠিক কার দখলে থাকবে তা নিয়েই প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বহরমপুর পুরসভার অন্দরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!