পুরসভার দখল ঘিরে শাসকদলের অন্দরে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে! হাসাহাসি দলের অন্দরেই! নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য June 8, 2019 লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে তৃণমূলের ভরাডুবির পরই একের পর এক জনপ্রতিনিধি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে শুরু করে। যার মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। ফলে কিছুদিন আগেই ভাটপাড়ায় বিজেপি তাদের বোর্ড গঠন করেছে। শুধু তাই নয়, নৈহাটি পৌরসভাতেও সম্প্রতি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে। তবে এই সবই তৃণমূলের কাউন্সিলররা বিজেপিতে গিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে। কিন্তু এবার তৃণমূলে থেকেই তৃণমূলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন বনগাঁ পৌরসভার শাসকদলের কাউন্সিলারেরা। যা নিয়ে এখন তৃণমূলের অন্দরেই তীব্র শোরগোলের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, এই বনগাঁ পৌরসভার 22 টি আসনের মধ্যে 20 টিতে তৃণমূল, একটিতে কংগ্রেস এবং একটি আসন সিপিএমের দখলে রয়েছে। আর এবার উত্তর 24 পরগনার একের পর এক পৌরসভার কাউন্সিলররা যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়াতে শুরু করেছেন, ঠিক তখনই বনগাঁ পৌরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলররা তৃণমূলে থেকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনায় হতবাক সকলে। কি কারণে তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে অনাস্থা প্রস্তাব আনা এক কাউন্সিলর অভিজিৎ কাপুড়িয়া বলেন, “আমরা সকলেই তৃণমূলের কাউন্সিলর। আমরা দলেই রয়েছি আর দলেই থাকব। আসলে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনেকের ক্ষোভ রয়েছে। তাই আমরা চেয়ারম্যানকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এনিয়ে মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত চিঠি দিয়েছি।” অন্যদিকে বিষয়টি তিনি শুনেছেন। সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। সকলে মিলেমিশে কাজ করতে চান বলে জানান এই বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। কিন্তু দলের কাউন্সিলররাই কেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করলেন? লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর ঘরে বসে কি এই সমস্যার সমাধান করা যেত না! এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “মহকুমা শাসককে কয়েকজন অনাস্থার চিঠি দিয়েছেন। তবে এটা কোনো অফিসিয়াল চিঠি নয়। আসলে ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এটা হয়েছে। আমি বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে পুরো ব্যাপারটি দেখার নির্দেশ দিয়েছি। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আর কোনো ক্ষোভ নেই। বিষয়টি মিটে গেছে। এই পুরসভায় অনাস্থা হচ্ছে না।” সব মিলিয়ে এবার পুরসভার দখল রাখতে শাসক দলের একাধিক কাউন্সিলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেই অনাস্থা আনায় তীব্র শোরগোলের সৃষ্টি হল বনগাঁ পৌরসভায়। আপনার মতামত জানান -