পুরসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে অ্যাসিড টেস্ট দিতে নয়া পরামর্শ প্রশান্ত কিশোরের, জেনে নিন কলকাতা রাজ্য July 3, 2019 এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বাংলায় খুব একটা ভালো ফল করতে পারেনি। 42 টি আসনের দখলের ডাক দিয়েও 22 টি আসন দখল করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের। অপরদিকে গেরুয়া শিবির নিজেদের দখলে 18 টি আসন নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু লোকসভায় পরাজয়ের পর 2021 এর বিধানসভা এবং তার আগেই 2020 পৌরসভা নির্বাচনকেই এখন পাখির চোখ করেছে শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরই। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সামনে আনতে এবং নির্বাচনে সাফল্য পেতে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরকে কাজে লাগাতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক কি কিভাবে নির্বাচনে ভালো ফলাফল করা যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক পরামর্শ তৃণমূল নেত্রীকে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর বলে জানা গেছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন নেতাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছেন তিনি। যেখানে দক্ষিণবঙ্গের দাপুটে তৃণমূল নেতা, যিনি ভোটের সময় নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন তার নাম রয়েছে বলে খবর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এই পরিস্থিতিতে এবার পুরসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৃণমূলের তরফে প্রার্থীদের যাতে গ্রহণযোগ্যতা এবং জনসংযোগ থাকে তা দেখেই প্রার্থীপদ স্থির করা হবে বলে জানা গেছে। আর এই পরিকল্পনার মূল মাস্টারমাইন্ড ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর। শুধু তাই নয় সাথে নতুনদের সুযোগ দেওয়ার কথাও নাকি বলে হয়েছে সূত্রের খবর এমনটাই। অন্যদিকে নেতা নেত্রীদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে সভা সমিতিতে বক্তৃতার উপরেও নাকি জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভোট গুরু প্রশান্ত কিশোর।সাথেই নতুন মুখের পরিচিতি বাড়াতে আরো বেশি করে সভা করার পরামর্শ এবং সভায় নতুনদের বেশিক্ষণ বক্তৃতা রাখার কথাও বলেছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যের বেশিরভাগ পৌরসভা তৃণমূলের দখলে থাকলেও সেখানকার কাউন্সিলরদের দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণ এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির অন্যতম কারণ। আর তাই সেই সমস্ত কাউন্সিলর অপেক্ষা ভালো মুখ পৌরসভা নির্বাচনে নিয়ে আসতে চাইছে তৃণমূল। যাদের এলাকায় ভালো জনসংযোগ এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, তাদেরই এবার প্রার্থী করার ব্যাপারে জোর দিতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। পাশাপাশি ক্ষমতায় আসার পর যেভাবে তৃণমূল নেতারা পুলিশ নির্ভর হয়ে পড়েছিলেন, তা যাতে আর না হয় তার জন্যও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে দলীয় নেতাদের বার্তা দিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে একদিকে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, ভালো জনসংযোগ থাকা এবং অন্যদিকে নিজেদের রাজনৈতিক ভাবে গড়ে তুলে পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে লড়তে চাইছে রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু তৃণমূলের এই বিলম্বিত বোধোদয়ে কি আদৌ সাফল্য মিলবে! এখন এই প্রশ্নকে ঘিরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আপনার মতামত জানান -