এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুরসভা ধরে রাখতে নয়া উদ্যোগ নিল তৃণমূল, কটাক্ষ বিজেপির

পুরসভা ধরে রাখতে নয়া উদ্যোগ নিল তৃণমূল, কটাক্ষ বিজেপির

লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর দলকে জনসংযোগে বাঁধতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “দিদিকে বলো” প্রকল্প করে গোটা তৃণমূল দলকেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশবার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, তৃণমূল যে সমস্ত পুরসভা বা বিধানসভা দখল করেছে, সেই সমস্ত পৌরসভা বা বিধানসভাতেও তাদের হার হয়েছে। কিন্তু সামনে পৌরসভা নির্বাচন।

আর সেই পৌরসভা নির্বাচনের আগে এবার সাধারণ মানুষের মন জয় করতে নতুন উদ্যোগ নিল ঘাসফুল শিবির। বস্তুত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। যেখানে জয়লাভ করেছেন বিজেপির সুভাষ সরকার।

কিন্তু লোকসভার ফলাফল ভুলে সামনের বাঁকুড়া পৌরসভা নির্বাচনে যাতে জয় লাভ করা যায়, তার জন্য এদিন বিজয়াকে শিখণ্ডী করে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করলেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন শুভাশিসবাবুর সাথে উপস্থিত ছিলেন ইন্দাস বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক গুরুপদ মেটে সহ তৃণমূলের অন্যান্য কর্মী সমর্থকরা। দেখা যায়, সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগে এতটাই মশগুল হয়ে পড়েন জেলা তৃণমূলের সভাপতি যে, অনেক ক্ষেত্রে নিজের হাতে করে তিনি অনেক মানুষকে মিষ্টি পর্যন্ত খাইয়ে দেন।

তাহলে কি এবার বিজয়াদশমীকে কারণ হিসেবে বেছে নিয়ে আগামী পৌরসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে জনসংযোগ করার জন্যই এহেন উদ্যোগ নিল তৃণমূল! এদিন এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেন, “সদ্য বিজয়া দশমী হয়ে গেছে। বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন। আমরা সেই কাজটাই করছি। পুজোর ছুটি ছিল। এখন অফিস-আদালত খুলেছে। 4 নম্বর ওয়ার্ড থেকে এই কর্মসূচি হল। পরবর্তীতে শহরের সব কয়টি ওয়ার্ডেই এই কর্মসূচি চলবে।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এই উদ্যোগকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, “গত চার বছরে তৃণমূলের সভাপতিদের বিজয়ার শুভেচ্ছা ও মিষ্টি বিতরণ করতে দেখিনি। তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। সামনেই পুরসভা নির্বাচন। তাই মিষ্টি বিতরণ করে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না।”

সব বিলিয়ে তৃনমূলের তরফে পুরসভা ধরে রাখতে বিজয়া দশমীর শেষে সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন এবং মিষ্টিমুখ করলে তা নিয়ে তৃণমূলকে প্রবল কটাক্ষ করে সরব হল বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!