এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার পুরভোটেও তৃণমূলের টিকিট পাবেন কারা বেছে দেবেন পিকে? তুমুল শোরগোল শাসকদলের অন্দরে

এবার পুরভোটেও তৃণমূলের টিকিট পাবেন কারা বেছে দেবেন পিকে? তুমুল শোরগোল শাসকদলের অন্দরে

 

2019 এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের 22 টি আসন পাওয়ার পেছনে নিচুতলার নেতাকর্মীদের দুর্নীতিই প্রধান ভাবে দায়ী বলে উঠে এসেছিল বিশ্লেষণে। যার পরবর্তীতে দলকে শৃংখলায় বাধতে দলের রননীতিকার হিসেবে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের দায়িত্ব নেওয়ার পরই একদিকে “দিদিকে বলো” কর্মসূচি, আর অন্যদিকে স্বচ্ছ নেতাদের ময়দানে নামানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন। ইতিমধ্যেই এই দুই প্রক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে রাজ্যের সদ্যসমাপ্ত তিন বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফলাফল করেছে ঘাসফুল শিবির।

তবে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কাছে সেমিফাইনাল ম্যাচ হল পৌরসভা নির্বাচন। তাই একদম পুরো নির্বাচনে সাধারণ মানুষের মন জয় করতে এবার স্বচ্ছ প্রার্থীদের বাছাইপর্ব শুরু করে দিল সেই প্রশান্ত কিশোরের টিম। বস্তুত, নতুন বছর পড়ার সাথে সাথেই পৌরসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে বলে মনে করছে একাংশ। যার মধ্যে রয়েছে জলপাইগুড়ি পৌরসভার নির্বাচন।

সেদিক থেকে বিগত দিনে এই পৌরসভায় তৃণমূল তাদের ক্ষমতা ধরে রাখলেও, কিছু কিছু কাউন্সিলারের আচরণ তৃণমূলকে এখানে ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে। যার ফলে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে প্রায় সমস্ত ওয়ার্ডেই তৃণমূলকে পিছনে ফেলে লিড নিতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। কিন্তু পৌরসভায় যাতে তা না হয়, তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সেই প্রশান্ত কিশোরের টিম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, সম্প্রতি এই পিকের টিমের সদস্যরা জলপাইগুড়ি শহরের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছেন। যেখানে রয়েছেন, নাট্যকার, সাহিত্যিক থেকে শুরু করে অধ্যাপক, চিকিৎসক সমাজের বিদ্বজ্জনেরা। মূলত, সমাজের এই বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলাপচারিতার মধ্যে দিয়েই জলপাইগুড়ি পৌরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের ভাবমূর্তি কি রকম, তা বুঝে নিতে চাইছে প্রশান্ত কিশোরের টিম। মানুষ কাকে চাইছে, আর কাকে চাইছে না! তাও নিজেদের এই আলাপচারিতার মাধ্যমে বুঝে নিতে চাইছে তারা।

আর প্রশান্ত কিশোরের টিমের এই উদ্যোগ দেখে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ বলছেন, এবারের পৌরসভা নির্বাচনে অনেক তৃণমূল কাউন্সিলর টিকিট নাও পেতে পারেন। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বিগত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পর্যদুস্ত হওয়ার পেছনে নিচুতলার কাউন্সিলরদের দুর্নীতি-স্বজনপোষন দায়ী। তাই পৌরসভা নির্বাচনে যাতে সেই কাউন্সিলরদের আধিপত্য বজায় না থাকে, তার জন্য সেই পুরভোটে নতুন মুখের দিকে নজর দিয়েছেন তৃনমূলের রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর। যা নিঃসন্দেহে তৃণমূলের পক্ষে অত্যন্ত স্বস্তিজনক হবে বলেই মত একাংশের।

তাহলে কি জলপাইগুড়ি পৌরসভা দখল করতে প্রশান্ত কিশোরের টিম যে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছেন, তাতে কি সেই বিশিষ্টরাই এখানে তৃণমূলের প্রার্থী! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষান কল্যাণী বলেন, “পৌরসভা নির্বাচনের জন্য রাজ্য নেতৃত্ব পরিকল্পনা প্রস্তুত করছে। তারাই প্রার্থী নির্বাচন করবে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোকেদের প্রার্থী করা হবে। সেইভাবে নির্বাচনী ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হচ্ছে।”

তবে যে যাই বলুক না কেন, যদি সমাজের বিশিষ্ট জনেদের প্রার্থী করার পক্ষে তৃণমূলের কাছে সুপারিশ করে প্রশান্ত কিশোরের টিম, তাহলে দল করা নেতাকর্মীরা বেঁকে বসেন কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!