এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুরনির্বাচনে শাসকদলের জমি ছিনিয়ে নিতে এখন থেকেই আসরে নামতে চলেছে বিজেপি

পুরনির্বাচনে শাসকদলের জমি ছিনিয়ে নিতে এখন থেকেই আসরে নামতে চলেছে বিজেপি

লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পাওয়ার পর ফাইনাল ম্যাচ 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে রেখে সিংহভাগ পৌরসভাগুলো দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এক্ষেত্রে যে সমস্ত পৌরসভায় নির্বাচন হতে চলেছে, সেই সমস্ত পৌরসভা নিজেদের দখলে আনতে স্থানীয় ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে শাসকের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতাদের। যেমন এবার হুগলিতে বন্ধ জুটমিল নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই পুরসভা নির্বাচনে জয় পেতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

জানা গেছে, এই হুগলী জেলাতে মোট 10টি জুটমিল রয়েছে। আর এই জুটমিলগুলোর মধ্যে সিংহভাগ জুটমিলই রয়েছে পৌরসভা এলাকায়। সেক্ষেত্রে চন্দননগর পৌরসভা, শ্রীরামপুর পৌরসভা এবং ভদ্রেশ্বর পৌরসভায় তিনটি জুটমিল বন্ধ রয়েছে। আর এটাকেই শাসকের বিরোধিতার জন্য প্রধান অস্ত্র হিসেবে পেয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই বন্ধ জুটমিলগুলো খোলার দাবি জানিয়ে রাস্তায় নেমেছে বিজেপির শ্রমিক সংগঠন।

জানা গেছে, কিছুদিন আগেই চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল নিয়ে বিজেপি রাস্তায় নেমেছিল। আর এবার পৌরসভা নির্বাচনের আগে পৌরসভার অন্তর্গত যে সমস্ত জুটমিলগুলো বন্ধ রয়েছে, তা খোলার দাবি জানিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ এই ব্যাপারে বিজেপির এই আন্দোলন নিয়ে পৌরসভা নির্বাচনকে কারণ হিসেবে দেখালেও তা মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির শ্রমিক শাখার সভাপতি সপ্তর্ষি বন্দ্যপাধ্যায় বলেন, “আমরা পুজোর পরেই বন্ধ জুটমিল নিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। রাজ্য সরকার বন্ধ জুটমিল খোলার জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি। কেবলমাত্র শ্রমিকদের ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। পুরসভা নির্বাচন অন্য বিষয়। আমরা কেবল শ্রমিকদের পাশে থেকে একটি শিল্পকে বাঁচানোর রাস্তা খুঁজতে চাইছি।” তবে বিজেপির তরফ থেকে এই দাবি করলেও তা মানতে নারাজ তৃণমূল। তাদের দাবি, আসলে পুরসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই বিজেপি রাজনীতি করতে নেমেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের শ্রমিক শাখার নেতা অন্বয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য সরকার জুটমিল নিয়ে যথেষ্ট কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে। বন্ধ জুটমিল খোলার জন্য চেষ্টার অভাব নেই। জেলার দশটি জুটমিলকে বামেরা ধ্বংস করে গিয়েছিল। বর্তমানে সাতটি জুটমিল ভালোভাবে চলছে। বিজেপির শ্রমিক শাখা ভোটের রাজনীতি করতে চাইছে। শ্রমিকদের জন্য আন্তরিক হলে কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়ে বন্ধ মিল খোলার উদ্যোগ নেওয়া যেত।”

তবে যে যাই বলুন না কেন, রাজনৈতিক মহলের একাংশ নিশ্চিত যে, পৌরসভা নির্বাচনের আগে বন্ধ জুটমিল খোলানো নিয়ে যেমন রাস্তায় নেমে সেই পৌরসভা দখলের জন্য প্ল্যান করতে শুরু করেছে বিজেপি, ঠিক তেমনই পাল্টা বিজেপি যাতে সমস্ত প্রচার না নিতে পারে, তার জন্য অতীতের সরকারের কথা তুলে ধরে বর্তমানে অনেক জুটমিল খোলা হচ্ছে সেই প্রচার দিতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। তবে শেষ পর্যন্ত এই জুট মিল খোলা বা বন্ধ, দাবি পাল্টা দাবির মাঝখানে দাঁড়িয়ে পৌরসভা নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়ে কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!