এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লক্ষ্য পুরভোট – এখন থেকেই কোমর বেঁধে আসরে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির

লক্ষ্য পুরভোট – এখন থেকেই কোমর বেঁধে আসরে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির


লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের প্রত্যাশামতই ফল করেছে বিজেপি। বিভিন্ন আসনে তৃনমূলকে অনেকটাই চাপে রেখে বাংলা জুড়ে মোট 18 টি আসন নিজেদের দখলে রেখেছে তারা। যার ফলে এবার 22 টা আসন পাওয়া তৃনমূল অনেকটাই চিন্তিত হয়ে পড়েছে। তবে ঘাসফুল শিবির হোক বা পদ্মফুল শিবির, এখন প্রত্যেকেরই পরবর্তী লক্ষ্য পুরসভা নির্বাচন। 2020 সালে রাজ্যে বেশ কিছু পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শাসক দল তৃণমূলকে যেখানে প্রমাণ করতে হবে যে, তাদের দিকেই জনসমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী দল বিজেপিকে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এখন থেকেই পৌরসভাগুলো নিজের দখলে রাখতে হবে। আর তাইতো এবার রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র এবং ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন শেষ হতে না হতেই ইসলামপুর পৌরসভা দখলের লক্ষ্যে এগোতে শুরু করল গেরুয়া শিবির।

জানা গেছে, বর্তমান এই ইসলামপুরের তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে সরব হতে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে তারা। কিন্তু কেন এই ইসলামপুর পুরবোর্ড দখল করতে এতটা উদ্যোগী গেরুয়া শিবির! বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী জয়লাভ করেছেন। আর সেখানেই ফলাফলের পর দেখা গেছে যে এই ইসলামপুর শহরে তৃণমূলের থেকে বিজেপি প্রায় 13 হাজার ভোট বেশি পেয়েছে।

আর তাই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পুরসভার ভোটকে পাখির চোখ করে এবার সেই ইসলামপুরের মানুষদের পাশে দাড়িয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে উদ্যোগী হচ্ছে তারা। কিন্তু লোকসভা ভোটের সঙ্গে পৌরসভা ভোটের তো আকাশ পাতাল সম্পর্ক। তাহলে লোকসভায় তারা যে ফল করেছিল, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে পৌরসভায় কি তারা সেই ফল করতে পারবে!

বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, বিজেপির পক্ষে এই ইসলামপুর পৌরসভায় ভালো ফল করা কিছুটা হলেও শক্ত। কিন্তু তারা যদি লাগাতার লড়াই, আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে মানুষের মনে বিশ্বাস অর্জন করতে পারে, তাহলে এখানে গেরুয়া শিবিরই শেষ হাসি হাসবে। কিভাবে তারা এগোবেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির ইসলামপুর টাউন কমিটির সভাপতি সৌমরুপ মন্ডল বলেন, “লোকসভা এবং ইসলামপুর বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীরা এই শহরে রেকর্ড ভোট পেয়েছেন। তাই ইসলামপুরের মানুষ বিজেপির পক্ষে রয়েছে। বর্তমান পুরবোর্ড মানুষকে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই আগামী মাস থেকে আমাদের কর্মীরা নাগরিকদের সমস্যা নিয়ে রাস্তায় নামবেন।”

একইভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেনকেও। তবে গেরুয়া শিবিরের এই অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল। এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা ইসলামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “স্মারকলিপি দেওয়া, আন্দোলন করা এইসব তো গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। বর্তমান পুরবোর্ড এলাকায় প্রচুর কাজ করেছে। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। পুরভোটের পর বিজেপির দিবাস্বপ্ন ভেঙে যাবে।”

তবে কি হবে, কারা শেষ হাসি হাসবে এই ইসলামপুর পৌরসভা নির্বাচনে, তা সময়ই বলবে। কিন্তু তার আগে শাসক-বিরোধী তরজা ইসলামপুরে ঠিক কি আকার ধারণ করে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!