এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পৌরসভা ভোট নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানালেন দিলীপ ঘোষ!

পৌরসভা ভোট নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানালেন দিলীপ ঘোষ!

রাজ্যের বেশিরভাগ পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই তার নির্বাচন করানো নিয়ে সরব হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত পৌরসভাগুলোতে প্রশাসক বসিয়ে দেওয়ায় কেন নির্বাচন হচ্ছে না, তার দাবি তুলে দ্রুত নির্বাচনের আবেদন জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। শেষ পর্যন্ত সম্প্রতি রাজ্যে পৌরসভা ভোটের দামামা বেজেছে। যেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে 12 এপ্রিল কোলকাতা, হাওড়া এবং 26 এপ্রিল বাকি পৌরসভাগুলো নির্বাচন করানো হবে বলে কমিশনকে জানানো হয়েছে। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

কিন্তু যেদিকে পরিস্থিতি এগোচ্ছে, তাতে রাজ্যের ইচ্ছা অনুযায়ী এই সময়েই নির্বাচন হতে পারে বলে ধরে নিয়েছেন প্রত্যেকেই। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এতদিন বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন করার দাবি তোলা হলেও, এবার সেই নির্বাচন পেছানোর জন্য কমিশনের দরজায় যেতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতাদের। অনেকেই বলছেন, বিজেপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নয়। তাই তারা টালবাহানা করে সেই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

তবে এই ব্যাপারে অবশ্য অন্য যুক্তি দিচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার যখন নির্বাচন চাইছে, তার কিছুদিন আগে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা শেষ হবে। ফলে সেই সময়ে প্রচারের জন্য মাইক বাজানো যাবে না। আর প্রচার যদি ঠিকমত না করা যায়, তাহলে নির্বাচনে সাফল্য পাওয়া যাবে না। তাই প্রচারকে নির্বাচনের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে তুলে ধরে এখন প্রচারের জন্য বেশি সময় চাইতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তাই তারা সেই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলছে বলে পাল্টা নিজেদের মত জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদের এই প্রসঙ্গে একই কথা বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, রবিবার সকালে হাওড়ায় প্রাতঃভ্রমণ এবং চা চক্রে যোগ দিতে এসে পৌরসভা ভোট নিয়ে মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যেখানে তিনি বলেন, “পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপি পুরো শক্তি নিয়ে লড়তে প্রস্তুত আছে। কিন্তু রাজ্য সরকার বিরোধীদের প্রচারের সুযোগ কেড়ে নিয়ে ফাঁকতালে ভোট করিয়ে নিতে চাইছে। যখনই নির্বাচন হোক, আমরা পূর্ণ শক্তি দিয়ে লড়াই করতে পারব। কিন্তু তা হতে হবে নিয়ম মেনে। কোথাও অনিয়ম হলে সেক্ষেত্রে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। প্রচারের জন্য কমপক্ষে 25 দিন সময় দিতে হবে বলে আদালত জানিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা পর্ব শেষ হওয়ার পর মাইক বাজিয়ে প্রচারের জন্য সময় পাওয়া যাবে না।”

পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন যেদিন থেকে ভোটের দিন ঘোষণা করবেন, সেদিন থেকেই প্রচারের দিন হিসেব করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিলীপ ঘোষের এই কথা থেকেই স্পষ্ট, প্রচারের সময় না পেলে তারা আদালতের দরজায় যাবেন এবং রাজ্য সরকারকে বিপাকে ফেলবেন।

অন্যদিকে এদিন কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন করতে দেখা যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তিনি বলেন, “বৈঠক ডাকলে তো যান না। সেখানে গেলে সব হিসেব দিতে হবে। তাই এখান থেকে চিঠি পাঠিয়ে রাজনীতি করছেন। উনি আগে হিসেব দিন। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেওয়ার জন্য বসে আছে।” সব মিলিয়ে এবার পৌরসভা ভোট থেকে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ বিজেপির দিলীপ ঘোষের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!