এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পৌরসভা নির্বাচনের মুখে কেন পুর দপ্তরের নয়া প্রকল্প ঘোষণা? উঠছে প্রশ্ন

পৌরসভা নির্বাচনের মুখে কেন পুর দপ্তরের নয়া প্রকল্প ঘোষণা? উঠছে প্রশ্ন

পৌরসভার প্রধান কাজ হল সাধারণ মানুষের ন্যুনতম পরিষেবা দেওয়া। সেদিক থেকে জঞ্জাল সাফ, নিকাশি নালা পরিষ্কার এই সমস্ত কিছু পৌরসভার কাজের মধ্যে পড়ে। ইতিমধ্যেই শহরের নিকাশি নালায় নানা দূষণ ছড়িয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে পৌরসভা নির্বাচনের আগে দূষণ বন্ধ করতে পরিকল্পনা নিল রাজ্যে পৌর এবং নগরোন্নয়ন দপ্তর।

সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর এবং জঙ্গিপুর পৌরসভা বর্জ্য জল পরিশ্রুত করার প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে ওয়ার্ক অডার দেওয়া হয়েছে। আর এতদিন এই ব্যাপারে কিছু উদ্যোগ না নিলেও, পৌরসভা নির্বাচনের মুখে কেন পুর দপ্তরের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

এদিন এই ব্যাপারে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে জেলা বিজেপি সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, “নির্বাচনে তৃণমূল নেতারা মানুষকে এরকম অনেক প্রকল্পের কথা বলেন। ভোট শেষ হয়ে গেলে সেই প্রকল্প চোখে পড়ে না। নিকাশির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হবে।” একইভাবে এই ব্যাপারে ঘাসফুল শিবিরকে কটাক্ষ করে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “পৌরসভার নিকাশানালাগুলি পুকুরে পরিণত হয়েছে। নিকাশি নালার কাজ হয়নি। পৌরসভার উন্নয়নের টাকা ড্রেন হয়ে তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকেছে। এবারে সেই টাকা কোন ড্রেনে যাবে, তা সময়ই বলবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিরোধীরা নির্বাচনের মুখে পৌরসভার তরফে দূষণ বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তৃণমূলকে কটাক্ষ করায়, তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে বহরমপুর শহর তৃণমূল সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রকল্পের বরাত একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে শহরের আমূল পরিবর্তন হবে। পরিবেশের দূষণ কমে যাবে। কাজ যে হবে, তা মানুষ দেখতে পাবেন।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নোংরা জল যে অত্যন্ত দূষণ ছড়ায় এবং তার ফলে যে মানুষের ক্ষোভ বাড়বে, তা বুঝতে পেরেছে পৌরসভা। আর তাই এখন পুরো ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে সেই দূষণকে কমাতেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভোটের মুখে এই উদ্যোগ কতটা তৃণমূলকে স্বস্তি দেবে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!