মুর্শিদাবাদ আসনের তুমুল লড়াইয়ে চারজনই, জয়- পরাজয় নিয়ে কি ভাবছেন স্থানীয় অধিবাসীরা? মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য May 2, 2019 একদা কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল মুর্শিদাবাদ জেলা। কিন্তু সময় যত গিয়েছে, ততই সেই কংগ্রেসের কাছ থেকে এই মুর্শিদাবাদ জেলা দখল করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। নির্বাচনের আগে বহুবার এই মুর্শিদাবাদে এসে অধীর গড়ে ঘাসফুল ফোটানোর জন্য কার্যত কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে দেখা গেছে জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। এমনকি জেলায় এসে কংগ্রেসকে হারানোর জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু কে শেষ হাসি হাসবে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে! এখন তা নিয়েই জোর জল্পনা চলছে সর্বত্র। ইতিমধ্যেই গত 23 এপ্রিল এই মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মূলত এবার এখানে চতুর্মুখী লড়াই হচ্ছে। একদিকে তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান, অন্যদিকে কংগ্রেসের আবু হেনা, বিজেপির হুমায়ুন কবির এবং গতবারের বিদায়ী সাংসদ সিপিএমের বদরুদ্দোজা খানের মধ্যে এবার জোর লড়াই শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন কতবার এই আসনটি সিপিএম নিজেদের দখলে রাখলেও এবার তারা এই আসনটি দখলে রাখতে পারবে না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, গত 2004 এবং 2009 সালের লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে মান্নান হোসেন জয়লাভ করলেও গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রটি কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় সিপিএম। তবে গত 2014 সালের নির্বাচনের সময়ে এই মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের অতটা দাপট না থাকলেও এবার পরিস্থিতির অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এখানে কংগ্রেস থেকে অনেক নেতারাই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। ফলে এবার এখানে তৃণমূল নেতারা তাদের ভোটব্যাঙ্ক বৃদ্ধি করতে যে অনেকটাই সক্ষম হবেন সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত শাসক দলের নেতারা। ইতিমধ্যেই চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পার্কে, ট্রেনে বাসে এই মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র কে দখল করবে তা নিয়ে জোর বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক অধিবাসী বলেন, “এখানে কংগ্রেস এবং সিপিএমের দখলে থাকলেও বিগত দিনের সাংসদেরা এলাকার উন্নয়নে কোনো জোর দেননি। কিন্তু তৃনমূল এলাকার চেহারা পাল্টে দিয়েছে। তাই কাজের নিরিখে মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দিয়েছেন।” অন্যদিকে এখানে এবারও কংগ্রেস প্রার্থী লক্ষাধিক ভোটে জয় যুক্ত হবেন বলে আশাবাদী এক সংখ্যালঘু অধিবাসী। তবে লড়াইয়ের আঙিনা থেকে কেউই সরিয়ে রাখতে চাইছেন না বিজেপি প্রার্থী হুমায়ূন কবীরকে। তবে নানা মুনির নানা মতের মাঝেও কি হবে তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 23 মে পর্যন্ত। আপনার মতামত জানান -