মুসলিমদের উপর নেমে এসেছে চরম নির্যাতন! ধ্বংস ১৬ হাজার মসজিদ? ভয়ে ধর্মত্যাগ ১০ লক্ষের? কোথায়? আন্তর্জাতিক September 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী উইঘুর মুসলমানদের উপর প্রচন্ড অত্যাচার চালাচ্ছে চীন। শিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী ১০ লক্ষ উইঘুর মুসলমানকে বলপূর্বক ইসলাম ধর্ম ত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এই সঙ্গেই এই প্রদেশের ১৬ হাজারটি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট প্রকাশিত রিপোর্টে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট উপগ্রহ চিত্র থেকে লভ্য চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের চিত্র বিশ্লেষণ করে করে দেখায় যে, পূর্বে শিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় ২৪ হাজার মসজিদ অবস্থিত ছিল। কিন্তু গত ২০১৭ সাল থেকে সম্প্রতি ১৬ হাজার মসজিদ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। কিছু মসজিদ সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংস করা না হলেও এগুলিতে নামাজ পড়ার একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। তবে, মসজিদগুলো ধ্বংস করলেও এখানকার গির্জা ও বৌদ্ধ মন্দিরগুলি অক্ষত অবস্থাতেই আছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এর সঙ্গে সঙ্গেই অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে যে, চীন সরকার বলপূর্বক তুর্কিভাসি ১০ লক্ষ উইঘুর মুসলমানকে একাধিক বন্দিশিবিরে বন্দি করে রেখেছে। সেই সমস্ত শিবির থেকে তাদের আধুনিক শিক্ষা দেওয়ার নাম করে বলপূর্বক অন্যান্য ধর্মের আচার-আচরণ পালনে বাধ্য করা হচ্ছে। ইসলাম ধৰ্ম ও সংস্কার ত্যাগ করার জন্য তাদের প্রচন্ড চাপ দেয়া হচ্ছে। উইঘুর মুসলমানদের উপর অত্যাচার এককথায় অবর্ণনীয় বলে তাদের দাবি। তবে, চীনের এর পক্ষ থেকে উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে খারিজ করতে দেখা গেল। অস্ট্রেলিয়ান সংস্থার রিপোর্টকে চীনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলে চীনের পক্ষ থেকে জানানো হলো। এপ্রসঙ্গে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানালেন যে, আমেরিকা থেকে ১০ গুণ বেশি মসজিদ শিনজিয়াংয়ে আছে। এ প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাতে যতগুলো মসজিদ এখানে রয়েছে ততো মসজিদ পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশেও পাওয়া যায় না। সেইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান সংস্থার প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও চীনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের চক্রান্ত বলে তিনি দাবী করলেন। আপনার মতামত জানান -