এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের পতাকা উড়ে যাওয়ায় কাঁপছে সবাই! এই মিথগুলো জানলে চমকে যাবেন!

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের পতাকা উড়ে যাওয়ায় কাঁপছে সবাই! এই মিথগুলো জানলে চমকে যাবেন!


গোটা বিশ্ব কাঁপছে করোনা আতঙ্কে – আর এর মাঝেই ঘুম ওড়াতে হাজির হয়েছে সুপার সাইক্লোন উমপুন। আগামী বুধবার এই মহা ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগের উপর ঝাঁপিয়ে পরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে উড়িষ্যা ও বাংলার বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই ঝড় আসার আগে গতকাল সন্ধ্যেবেলায় হঠাৎ করে পুরীর মন্দিরের শীর্ষের পতাকাটি উড়ে যায়, যদিও তখন এমন কিছু জোরে হাওয়া দিচ্ছিল না। আর তারপরেই জগন্নাথদেবের ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক ভয়ের সঞ্চার হয়েছে।

উড়িষ্যার সাধারণ মানুষ ও জগন্নাথদেবের ভক্তদের বিশ্বাস – পুরীর মন্দিরের এই পতাকা উড়ে যাওয়া আদতে ভয়ঙ্কর ক্ষতির ইঙ্গিত। বিগত দিনে, যতবার এই ঘটনা ঘটেছে – ভয়ঙ্কর কোনো বিপদ নেমে এসেছে পৃথিবীর বুকে। আর তাই, গতকাল সন্ধ্যের পর থেকেই অনেকেই আতঙ্কিত। কিন্তু, কেন এই আতঙ্ক? আসলে পুরীর মন্দির নিয়ে এমন সব মিথ আছে, যার কাছে বারেবারে হার মেনেছে বিজ্ঞান। আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক পুরীর মন্দিরের বিভিন্ন চমকে যাওয়া মিথগুলি –

১. মন্দিরের পতাকা – আমরা জানি যে কোন পতাকা, যে দিকে হাওয়া প্রবাহিত হয়, সেদিকেই ওড়ে। কিন্তু পুরীর মন্দিরের শীর্ষ পতাকা সবসময় হাওয়া যেদিক থেকে প্রবাহিত হয় তার উল্টো দিকে ওড়ে। আজ পর্যন্ত কোনো বৈজ্ঞানিক এর কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

২. সুদর্শন চক্র – পুরীর মন্দিরের শীর্ষে ২০ ফুট উঁচু একটি সুদর্শন চক্র আছে, যেটির ওজন এক টন। পুরী শহরের যে কোন প্রান্ত থেকে ওই চক্রের দিকে তাকালে মনে হবে চক্রটি আপনার দিকেই মুখ ফেরানো আছে। এটি প্রভু জগন্নাথদেবের লীলা নাকি প্রাচীন ভারতের অতি উচ্চমাত্রার কারিগরি শিল্প তা অবশ্য নির্ণয় করা যায় নি।

৩. পাখি বা বিমানের উড়তে না পারা – পুরীর মন্দিরের উপর দিয়ে কোনো পাখি বা কোনো বিমান উড়তে পারে না। কোনো সরকারি নিয়ম নয়, দৈবশক্তির ফলেই এমন ঘটনা। ভারতের আর কোনো মন্দিরে এমন ঘটনার কোনো নিদর্শন নেই। এরও কোনো ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা দিতে পারেননি।

৪. মন্দিরের ছায়া পরে না – দিনের যে কোন সময় আপনি মন্দিরে গেলেও মন্দিরের কোনো ছায়া কোনোদিকে দেখতে পাবেন না। অনেকে বলেন এটি জগন্নাথদেবের মায়া, অনেকে বলেন উন্নতমানের কারিগরি শিল্প।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

৫. সিংহদুয়ার – পুরীর মন্দিরে ঢোকার মোট ৪ টি প্রবেশদ্বার আছে। তার মধ্যে প্রধান হল সিংহদুয়ার। এই সিংহদুয়ার দিয়ে যখন আপনি প্রবেশ করবেন তখন সমুদ্রের গর্জন শুনতে পাবেন। অথচ দরজার বাইরে বেরিয়ে এলেই বা মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করে গেলে আর কোনো সমুদ্রের আওয়াজ শুনতে পাবেন না। সব থেকে মজার কথা হল – সমুদ্র থেকে অনেকটাই দূরে মন্দির এবং বর্তমান সময়ে গাড়িঘোড়ার শব্দে ওই সিংহদুয়ার থেকে সমুদ্রের গর্জন শোনা কিছুতেই সম্ভব নয়। আর তাই বিজ্ঞান আজও এই ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারে নি।

৬. সমুদ্রের ঢেউ – সারা বিশ্বে দিনের বেলায় হাওয়া সমুদ্র থেকে ডাঙায় আসে, আর রাত্রিবেলায় হাওয়া ডাঙা থেকে সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। কিন্তু পুরীই হচ্ছে একমাত্র জায়গা যেখানে এর উল্টো ঘটনা ঘটে। আর এরও কোনো ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের কাছে নেই।

৭. পুরীর প্রসাদ – পুরীর মন্দিরে দৈনিক ২ থেকে ২০ হাজার মানুষের সমাগম হয়। প্রতিদিনই মন্দিরে একই পরিমান প্রসাদ রান্না করা হয়। অথচ কোনোদিন সেই প্রসাদে কম পরে না বা কারোর পেট ভরে নি এমনও হয় না।

৮. প্রসাদ রান্না – পুরীর প্রসাদ রান্না হয় এক অদ্ভুত উপায়ে। কাঠের চুল্লির উপরে বড় থেকে ছোট হিসাবে একটার উপর একটা হাঁড়ি চাপানো থাকে। এরকম মোট ৭ তো হাঁড়ি বা মাটির পাত্র সাজানো থাকে। কিন্তু মজার কথা, সব থেকে উপরের পাত্রের ভোগ সবার আগে রান্না হয় আর সব থেকে নীচের পাত্রের ভোগ সবার শেষে।

আর পুরীর মন্দিরের এই সব মিথই ভক্তদের মধ্যে জগন্নাথদেবের প্রতি আস্থা ও ভরসা আরও বাড়িয়েছে। আর তাই, পুরীর মন্দিরের শীর্ষ পতাকা উড়ে যাওয়া নিয়ে ভক্তদের মধ্যে এত আলোচনা শুরু হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!