এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > এনআরসি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য তৃণমূলের জেলা সভাপতির,রাজনৈতিক সমালোচনা তুঙ্গে

এনআরসি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য তৃণমূলের জেলা সভাপতির,রাজনৈতিক সমালোচনা তুঙ্গে

এন আর সি ও সি এ এ এবং এনপিআরের বিরোধিতায় প্রথম থেকেই দেশের বিরোধী শক্তিগুলি মূলত এককাট্টা হয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রথম সারিতে আসবে। নাগরিকত্ব আইনকে প্রতিষ্ঠা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছে নির্দিষ্ট আইনি পদ্ধতি মেনেই তবে এনআরসি গোটা দেশে চালু হবে।

আর এই নির্দিষ্ট আইনি পদ্ধতি যে কি সে সম্পর্কে বিভিন্ন অনুমান করা হলেও সে সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি এখনো পর্যন্ত। আপাতত এনআরসি হোক অথবা নাগরিকত্ব আইন, রাজ্য বাসীর কাছে এই সংক্রান্ত কোন সমীক্ষা করতে আসলে কড়া হুঁশিয়ারির কথা শোনালেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

এদিন অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের পাইকরে নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বিরোধী একটি সভা থেকে নাগরিকত্ব আইন বা এনআরসি নিয়ে কোনো বাড়িতে যদি কোনরকম সমীক্ষা করার জন্য কেউ আসে, তাহলে তাঁদেরকে চরম অপমান করার নিদান দিলেন তিনি। তিনি এ প্রসঙ্গে আশ্বাস দেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার থাকার ফলে কাউকে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি বাড়িতে গিয়ে কতগুলো গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কতজন মানুষ জানতে চান, একাত্তর সালের আগের দলিল দেখতে চান, তাহলে তাঁদের ঝাঁটাপেটা করে তাড়াবেন। আপনাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। আপনাদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। কারণ এরাজ্যে কোনও আইন লাগু হবে না। এ রাজ্যের হিন্দু-মুসলিম সহ সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ সুরক্ষিত থাকবেন। কাউকে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপরই তিনি প্রসঙ্গক্রমে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন,’মানুষ ওই বর্বর দলকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। ওই কালা আইন মানুষ যে মানে না, তার জবাব ওরা ঝাড়খণ্ডে পেয়েছে। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে যে নির্বাচন হবে, সেখানেও তাঁদের খালি হাতে ফিরতে হবে। মানুষের সঙ্গে যারা বেইমানি করবে, কেউ তাদের ক্ষমা করবে না।’ যদিও ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে বিজেপির সাথে তৃণমূলেরও ভরাডুবি হয়েছে। সে প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘সর্বভারতীয় দলের তকমা পেতে হলে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট পেতে হয়। তাই দলের সর্বভারতীয় তকমা বজায় রাখতে ঝাড়খণ্ডে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল।’

অনুব্রত মন্ডলের এই বার্তা সামনে আসার সাথে সাথে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজ্য বিজেপির দাবি, অনুব্রত মন্ডল জনগণকে অশান্তি করতে উসকাচ্ছেন। অন্যদিকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে বিক্ষোভের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ক্রমশঃ আগ্নেয়গিরির আকার ধারণ করেছে। এদিকে, কলকাতাতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একনাগাড়ে প্রতিবাদ, মিছিল চালিয়ে যাচ্ছেন।

শুধু তাই নয় প্রতিবাদ মিছিল থেকে তিনি দেশের বিরোধী শক্তিকে একজোট হওয়ার আবেদন জানিয়ে যাচ্ছেন ক্রমাগত। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এনআরসি নিয়ে যেভাবে সারাদেশে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে, তাতে দেশের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা অস্বস্তিতে। আপাতত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এনআরসি ইস্যুতে কোনদিকে মোড় নিতে চলেছে সেদিকেই নজর রাখছে সবাই।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!