এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ঝাড়খন্ড কি চাপ বাড়ালো বিজেপির? এন আর সি নিয়ে এবার উল্টো সুর রাজ্য বিজেপি সভাপতির গলায়

ঝাড়খন্ড কি চাপ বাড়ালো বিজেপির? এন আর সি নিয়ে এবার উল্টো সুর রাজ্য বিজেপি সভাপতির গলায়

এন আর সি ও সি এ এর বিরোধিতায় টানা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রথম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরসির বিরোধিতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই কড়া বিরোধিতার আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু এ রাজ্যের বিজেপি শিবির শুরু থেকেই এনআরসি হবেই বলে এসেছেন। এমনকি এনআরসি ছাড়া বেআইনি অনুপ্রবেশ কারীদের আটকানো সম্ভব নয় বলেও দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু হঠাৎ করেই দেশের উত্তপ্ত পরিবেশকে মাথা রেখে এবার সুর বদল করলেন কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বরা।

এবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি এবং সাংসদ দিলীপ ঘোষ এনআরসি নিয়ে পাল্টা বক্তব্য রাখলেন। এরাজ্যে বুধবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি এনআরসি নিয়ে বলেন, ‘এনআরসি ভবিষ্যতের বিষয়।’ বারংবার পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি করার জন্য প্রচার করার পর রাজ্য বিজেপি সভাপতির  এইরকম উল্টো বক্তব্য রাখার ফলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য একটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, যে রাজ্যে বিজেপি এখনই এনআরসি চাইছেনা।

এনআরসির বাস্তবায়ন অর্থাৎ কবে থেকে এনআরসি লাগু হবে এ সম্পর্কে দীলিপ বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দেন, ‘কখন হবে, কীভাবে হবে তা ভবিষ্যতের বিষয়।’ এদিন জলপাইগুড়িতে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন,’সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কারণে অসমে এনআরসি কার্যকর করা হয়েছিল। রাজীব গান্ধী এই চুক্তি করেছিলেন যে তারা এনআরসি করবেন। বিজেপি এই চুক্তি করেনি। আমরা এটি নিয়ে আদালতে যায়। আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে এটি কার্যকর করা হয়েছিল।’এনআরসি নিয়ে দীলিপবাবু আরো বলেন ‘যদি দেশব্যাপী এনআরসির প্রয়োজন হয়, কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবে।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের আলোচনায় উঠে এসেছে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য। এর ফলে বোঝা যাচ্ছে, এনআরসির বিষয়টি তাঁরা গান্ধী পরিবার ও কংগ্রেসের সঙ্গে জুড়ে দিতে চাইছে। এই মুহূর্তে বিজেপি এনআরসি থেকে যতটা সম্ভব নিজেদেরকে দূরে রাখতে চাইছে। গত এক বছর আগেও দীলিপবাবু পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলায় এনআরসি অনিবার্য। শুধু তাই নয়, গত নভেম্বরে উপ নির্বাচনের পরাজয়ের পরেও বিজেপির তিনটি সমাবেশে গিয়ে দিলীপ ঘোষ পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এরাজ্যে পরাজয়ের জন্য এনআরসিকে দায়ী করা ঠিক না। উল্লেখযোগ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, সারাদেশে এনআরসি নিয়ে কোন আলোচনা করা হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য সামনে আসার পরেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর এত দিনের বক্তব্য থেকে সরে আসেন।

ইতিমধ্যে দেশজুড়ে এনআরসি কার্যকর করা নিয়ে যে বিলটি পাস হয়েছে তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, সারা দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। দেশের প্রতিটি জায়গায় বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিজের মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিপরীত মন্তব্যের অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কেন্দ্রের এন আর সি নিয়ে বক্তব্য পরিবর্তনের কারণ হিসাবে উঠে এসেছে নতুন নাগরিকত্ব আইন এবং প্রস্তাবিত নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের প্রভাব। আপাতত সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!