এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নবান্ন অভিযান বুঝিয়ে দিল বিজেপি বাংলায় কতটা শক্তিশালী! একুশের লক্ষ্যে এখন কোন পথে তৃণমূল?

নবান্ন অভিযান বুঝিয়ে দিল বিজেপি বাংলায় কতটা শক্তিশালী! একুশের লক্ষ্যে এখন কোন পথে তৃণমূল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে নবান্ন অভিযানের মধ্য দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যের শাসক দল এবং পুলিশ প্রশাসনকে হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দিয়েছে। জীবনকে বাজি রেখে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজেপি কর্মীরা নবান্ন অভিযান কর্মসূচি শেষে বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা লড়াই করতে বিন্দুমাত্র পিছপা হবেন না।

পুলিশের পক্ষ থেকে বিজেপির মিছিল ছত্রভঙ্গ করার জন্য নানা চেষ্টা হলেও বিজেপি কর্মীদের মূর্তি রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলার জনসাধারণকে। রক্ত ঝরলে ও আঘাত সহ্য করে নিলেও বিজেপি নেতারা যেভাবে শেষ পর্যন্ত নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে ময়দানে টিকে থাকলেন, তা সত্যিই আগামী দিনে বাংলা দখলের ক্ষেত্রে তাদের অনেকটাই মাইলস্টোন পাইয়ে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচির আগের দিনই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নবান্ন স্যানিটাইজার হবে। তাই দুই দিনব্যাপী নবান্ন বন্ধ থাকবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজেপি এই আন্দোলন থেকে সরে আসেনি। সকাল গড়িয়ে বেলা হতে না হতেই বিভিন্ন জায়গায় রণক্ষেত্রের ছবি সামনে আসতে শুরু করে।

হেস্টিংস মোড়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যারিকেড দেওয়া হলেও তা ভেঙে মিছিলে নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করে ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়েছে। পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ করার অভিযোগ তোলে ভারতীয় জনতা পার্টি।

শুধু তাই নয়, বিজেপির বেশ কিছু কর্মীর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগই উঠুক না কেন, তারা যে আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না, তা এই কর্মসূচির শেষ লগ্ন পর্যন্ত উপস্থিত থেকে বুঝিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাকর্মীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে ইএম বাইপাসে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি ঘটনায় বিজেপি নেত্রী শর্বরী দেবীর শাড়ি ছেড়ে দেওয়া এবং অশালীন আচরণের অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে পুলিশের লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে চায় বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের। একইভাবে বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্ত বমি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর একের পর এক বিজেপি নেতা পুলিশের আক্রমনে কুপোকাত হলেও, শেষ পর্যন্ত বিজেপির এই আন্দোলনের টিকে থাকা দেখে অন্য সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, বিজেপির এই নবান্ন অভিযান কর্মসূচিকে আটকাতে সকাল থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও বিজেপি কোথাও ব্যারিকেড ভেঙে এই মিছিলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের বাধার কারণে বিজেপির অনেক নেতা আক্রমণ এবং অসুস্থ হয়ে গেলেও, তারা তাদের আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা কোনোমতেই লড়াই থেকে সরে আসবেন না।

আর এটা দেখেই অনেকে বলছেন, বিগত বাম আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস এইরকম আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই ক্ষমতার পথকে প্রশস্ত করেছিল। আর সামনে যখন 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক তার আগে যেভাবে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বিজেপির নবান্ন অভিযান কিছুটা হলেও সফলতা পেল, তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যে বাংলায় বড় নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে চলেছে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত বিশেষজ্ঞদের কাছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যদি 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত বিজেপি এভাবেই ময়দানে টিকে থাকতে পারে, তাহলে তারা তৃণমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে। স্বাভাবিকভাবেই এখন বিজেপি তাদের এই নবান্ন অভিযান কর্মসূচি থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও পুরোদস্তুর ভাবে কবে থেকে ময়দানে ঝাপায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!