মুখ্যমন্ত্রীর অফিস কি আর নবান্ন থেকে ঐতিহ্যশালী মহাকরণে ফিরবে না? জল্পনা চরমে কলকাতা রাজ্য October 28, 2018 বাম জামানার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন তাও প্রায় অনেক বছর হল। মাঝখানে একটি বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গিয়ে লোকসভা ভোট এসে গেল। বামেরা ৩৪ বছর ধরে যে রাইটার্স বিল্ডিং এ বসে বাংলা শাসক করে গিয়েছে,সেই কার্যালয়ে প্রথমে বসলেও বিল্ডিংটির সংস্কার এবং আধুনিকীকরণের কারণ সামনে রেখে কার্যালয় পরিবর্তন করেছিলেন নেত্রী। গঙ্গার পশ্চিপাড়ে হাওড়ায় ১৪ তলবিশিষ্ট নীলসাদা কার্যালয় বানিয়েছেন তিনি। নাম দিয়েছেন নবান্ন। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর পাকাপাকিভাবে কার্যালয় পরিবর্তন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কথা দিয়েছিলেন মহকরণ সংস্কার করা হবে। তারপর ফের এখানে বসেই রাজ্যের কার্যভার সামলাবেন নেত্রী। নেত্রীর এই প্রতিশ্রুতির পাঁচ বছর কেটে গেলেও মহাকরণ সংস্কারের কাজ নিয়ে গড়িমসি করছে তৃণমূল সরকার। সচিবালয় নবান্নে চলে যাওয়া পর প্রায় বছর খানেক রাইটার্সে কোনো কাজই হয়নি। তারপর তার সংস্কারের কাজে গয়ংগচ্ছ ভাব স্পষ্ট প্রশাসনের। যেখানে সেখানে এসি মেসিন,ইলেকট্রিক ওয়্যারিং-এর তার ঝুলে শতাব্দী প্রাচীন এই লালবাড়ির ভগ্নদশা সামনে এসেছে। এমতাবস্থায় রাইটার্সের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠছে। আধুনিকীকরণের পর রাইটার্সের চেহারা কেমন হবে,সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব তথা পরবর্তী মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। সেই কমিটি এই ইস্যুতে একাধিক বৈঠক করলেও,এখনো সমস্যা সমাধানে কোনো পথের হদিশ দিতে পারেনি। সাফাইতে পূর্ত দপ্তর জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর মহাকরণ থেকে নবান্নে চলে যাওয়ার পর রাইটার্সের সংস্কার বিষয়ে তদারক করতেই কেটে গিয়েছে প্রায় একবছর। এ ইস্যুতে একাধিক মতামত রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের। তারপরই শুরু হয়েছে ভাঙাভাঙির পর্ব। স্বাধীনতার পর রাইটার্সের ভিতরে তৈরি পাঁচতলার একাধিক জায়গায় সাদা রঙের ব্লক পুরোপুরি ভেঙে ফেলে জায়গা ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত কিছু ফ্লোর অপ্রয়োজন মনে করে গুঁড়িয়েও ফেলা হয়েছে।গত কয়েকমাসে ৩, ৪ এবং ৫ নং ব্লকের সর্বোচ্চ তল এবং জি, সি, ডি ব্লক ভেঙে ফেলা হয়েছে পুরোপুরিভাবে। এছাড়াও ইংরেজ আমলে তৈরি ছাদের সংস্কার করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফেরানো হয়েছে বেহাল দশা। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে পাশাপাশি হেরিটেজ কমিশনের একাধিক পরমার্শ মেনে সংস্কার শুরু হয়েছে ভবনের বাইরের দিকেও। এখন এই কাজ কবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে কোনো সময়সীমার উল্লেখ করা হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতির ব্যস্ততায় এটা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ রাজ্যসরকার। ভোট মিটলেই এ ব্যাপারে কোনো স্থির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন নবান্নেী এক শীর্ষ কর্তা। এখন ভোটের পর রাজ্যসরকার ডালহৌসি অফিস পাড়ার এই শতাব্দী প্রাচীন বাড়ি সংস্কারে সদিচ্ছা দেখায় কিনা সেটাই দেখার! আপনার মতামত জানান -