এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > নবান্ন ঘেরাও অভিযানে বাম কর্মীদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদ- আগামীকাল বারোঘন্টার বাংলা বন্ধ

নবান্ন ঘেরাও অভিযানে বাম কর্মীদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদ- আগামীকাল বারোঘন্টার বাংলা বন্ধ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বৃহস্পতিবার দিনভর রাজ্য রাজনীতি সরগরম ছিল বামেদের নবান্ন অভিযান নিয়ে। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনের নবান্ন অভিযানের ওপর পুলিশের নির্মমভাবে লাঠি চার্জ এবং জলকামান চালানোর অভিযোগে রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বামেদের আজকের নবান্ন অভিযান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বামেরা আজকের অভিযানে নির্বিচারে পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। তবে সমস্যা অন্যত্র। দীর্ঘ এক বছর স্কুল বন্ধ থাকার পর আগামীকাল প্রথম স্কুল খোলার কথা।

কিন্তু বন্ধের মধ্যে স্কুল খোলা নিয়ে ইতিমধ্যে অভিভাবকরা হয়ে পড়েছেন চিন্তিত ও বিভ্রান্ত। তবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী শুক্রবার থেকে স্কুল খুলবে। সেক্ষেত্রে বনধের কোনো প্রভাব পড়বে না স্কুল খোলার ক্ষেত্রে। দীর্ঘ এক বছর স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যে অত্যন্ত ক্ষতি হয়েছে সে কথা বলাইবাহুল্য। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার দরুন ক্লাস হয়নি। এই অবস্থায় প্রথম স্কুল খোলার দিনে বামেদের ডাকা বনধ কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে যথেষ্ট চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, কোনমতেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত বদল হবেনা। নির্দেশিকা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন শুরু করবেন। অন্যদিকে দেখা গেছে, বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল আজ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত। মিছিলের শুরুতে পুলিশের বিনা প্ররোচনায় নির্মম ভাবে লাঠি চার্জ এবং জলকামান প্রয়োগের প্রতিবাদে আগামীকাল বামেরা ডেকেছে রাজ্যজুড়ে বারোঘন্টার বনধ।

দোষী পুলিশকর্মীদের শাস্তির দাবিতেই আগামীকাল রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামেরা বলে জানা যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, দীর্ঘদিন রাজ্যে বামেরা পিছিয়ে থাকার পর 21 এর বিধানসভা নির্বাচনের কাছাকাছি এসে যেভাবে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে সংগঠিতভাবে, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের সামনে গেরুয়া শিবিরের পাশাপাশি আরও একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে চলেছে বাম শিবির। আপাতত দেখার, আগামীকাল বামেদের ডাকা ধর্মঘট কতটা সফল হয় রাজ্যজুড়ে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!