এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বড়সড় পরিবর্তন শাসক শিবিরে, পদ গেল হেভিওয়েটের, দায়িত্বে দাপুটে নেত্রী – চাঞ্চল্য তৃণমূলে

বড়সড় পরিবর্তন শাসক শিবিরে, পদ গেল হেভিওয়েটের, দায়িত্বে দাপুটে নেত্রী – চাঞ্চল্য তৃণমূলে


করোনা ভাইরাস না থাকলে বর্তমানে রাজ্যের অনেক মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যেত। কিন্তু এই ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করায় এখন মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া সমস্ত পৌরসভায় প্রশাসক বসিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। যেখানে প্রায় সমস্ত পৌরসভাতেই বিদায়ী মেয়র থেকে চেয়ারম্যানদের প্রশাসক বোর্ডের মাথায় বসিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হচ্ছে।

কলকাতা পৌরসভায় যেমন ফিরহাদ হাকিমকে বসানো হয়েছে, ঠিক তেমনই বামেদের দখলে থাকা শিলিগুড়ি পৌরসভায় প্রশাসক বোর্ডের মাথায় আনা হয়েছিল সেখানকার বিদায়ী মেয়র অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্যকে। সেদিক থেকে জলপাইগুড়ি পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় সেখানেও সেই পৌরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসুকে প্রশাসক করা হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন করা হল সেই পৌরসভা ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পালকে।

আর সমস্ত পৌরসভায় বিদায়ী মেয়র এবং চেয়ারম্যানদের প্রশাসক করা হলেও কেন তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভায় তৃণমূলের বিদায় চেয়ারম্যান দায়িত্ব দেওয়া হল না! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র জল্পনা। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জলপাইগুড়ি পৌরসভার জন্য যে প্রশাসক বোর্ড গঠন করা হয়েছে, তার মাথায় রাখা হয়েছে সেখানকার ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পালকে। এছাড়াও আরও চার সদস্য সেই বোর্ডে রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার মধ্যে রয়েছেন – সৈকত চট্টোপাধ্যায় সন্দীপ মাহাতো, বিশ্বজিৎ সরকার এবং নিপু সাহা। আর সমস্ত পৌরসভায় যখন বিদায়ী মেয়র এবং চেয়ারম্যানকে প্রশাসক বোর্ডের মাথায় রাখা হচ্ছে, তখন জলপাইগুড়ি পৌরসভায় মোহনবাবুকে সেখানে না রাখা হলেও, সদস্য পদেও তার নাম না থাকায় এখন আরও জল্পনা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে বলছেন, মোহনবাবুর সাথে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণীর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়।

জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরই শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি পৌরসভার বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের অভিযোগ তুলে সরব হন জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণী। এক্ষেত্রে নাম না করে মোহন বসুর বিরুদ্ধেই সরব হন তিনি। এদিকে এমতাবস্থায় বেশ কিছুদিন আগে সেই মোহনবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে সাম্প্রতিক কালে তিনি আবার সক্রিয়ভাবে ময়দানে নামলে গুঞ্জন শুরু হয়। প্রায় সকলেই আশা করেছিলেন, হয়ত মোহন বসুকেই জলপাইগুড়ি পৌরসভার বোর্ডের প্রশাসক করা হবে।

তবে তা তো হলই না, উল্টে প্রশাসক বোর্ডের সদস্য পদেও মোহন বসুর নাম না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান পদ সামলানো এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার এখন ডানা ছাটা হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একাংশের মতে, যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান পদ সামলেছেন মোহন বসু। তাই তার একটা অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেদিক থেকে তাকেই প্রশাসক বোর্ডে রাখা উচিত ছিল। তবে অনেকের মতে, শরীর সুস্থ নেই মোহন বসুর। তাই প্রশাসকের দায়িত্বে নেই।

কিন্তু এটা কি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফসল? এই বিষয়ে বিরোধী কংগ্রেস কাউন্সিলর পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “এই সংকটময় অবস্থার কথা মাথায় রেখে চূড়ান্ত দলবাজি থেকে শাসকপক্ষ বিরত থাকবেন, আশা রাখি।” তবে মোহন বসুর মত অভিজ্ঞ ব্যাক্তিকে জায়গা না দিয়ে যেভাবে তাঁরই অধীনে কাজ করা ভাইস চেয়ারম্যানকে প্রশাসক করে দেওয়া হল, তাতে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়ছে শাসকশিবিরে। জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই এই পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক জল্পনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!