এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুজোর মুখেই সরকারি কর্মীদের জন্য বড়সড় ধাক্কা, নির্দেশিকা জারি নবান্নের

পুজোর মুখেই সরকারি কর্মীদের জন্য বড়সড় ধাক্কা, নির্দেশিকা জারি নবান্নের

পুজোর মরসুমে প্রায় সকলেই চান আনন্দে বাড়িতে সকলের সঙ্গে সময় কাটাতে। তার ওপরে এবার অষ্টমী পড়েছে রবিবার। সেক্ষেত্রে খাসির মাংস দিয়ে গরম ঝোলের সঙ্গে বাসমতি চালের ভাত খাওয়ার আনন্দ মিস করতে রাজি নন প্রায় প্রতিদিনই অফিস টাইমে যাতায়াত করা যাত্রীরা। কিন্তু হয়ত তাদের অর্থ্যাৎ অনেক সরকারি কর্মীদের কপালে সেই সুখ জুটবে না। কেননা রাজ্যের অনেক মানুষই এখন নিরানন্দে রয়েছেন। তাই সেই নিরানন্দে থাকা মানুষদের আনন্দ দিতে নিজেদের আনন্দকে কিছুটা ত্যাগ করতে হবে রাজ্য সরকারি অফিসার কর্মীদের।

সূত্রের খবর, বন্যা এবং পুজোর জন্য প্রতিটি জেলার সব সিনিয়র অফিসারদের এবার ছুটি বাতিল করল রাজ্য সরকার। জানা গেছে, বুধবার নবান্নে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি এবং পুজো নিয়ে সমস্ত জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি বৈঠক করেন রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।

আর ওই বৈঠকেই মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং হাওড়া জেলার জলমগ্ন অবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট করা হয়। মালদহের জেলাশাসক বলেন, তাদের জেলার এগারোটি ব্লক বন্যার জলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। আর এই কথা শুনেই মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সকলকে নির্দেশ দেন যে, পুজোর সময় বিডিও এবং জেলাশাসক, পর্যায়ের অফিসারদের কোনো ছুটি দেওয়া যাবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, বিভিন্ন দপ্তরের সিনিয়র অফিসাররাও পুজোর সময় কোনো ছুটি নিতে পারবেন না। এদিকে পুজোর সময় যাতে কোথাও আইন-শৃংখলার কোনরূপ অবনতি না হয়, তার জন্য এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ডিজি বীরেন্দ্র রাজ্যের সমস্ত জেলার পুলিশ সুপারদের কাছ থেকে সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি জেনে নেন‌। পুজোর ক’দিন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যাতে পুলিশ প্রশাসন প্রতিটি জেলায় সচেতন থাকে, সেই ব্যাপারেও নির্দেশ দেন তিনি।

এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, “যদি কোনো এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়, সেখানকার বাসিন্দাদের ত্রাণশিবিরে রাখতে হবে। আর সেখানেই খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।” সাপে কাটা ওষুধ, জ্বরের ওষুধ এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। সব মিলিয়ে পুজোর সময়গুলিতে ছুটি পাবেন বলে সরকারি কর্মচারীরা আনন্দে ডগমগ থাকলেও বেশিরভাগ জেলারই সিনিয়র অফিসার এবং জেলাশাসক পদমর্যাদার অফিসারদের কপালে যে সেই ছুটি জুটছে না, তা এদিনের বৈঠক থেকেই নিশ্চিত হয়ে গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!