এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সময়ে তালিকাই জমা দিতে পারেনি নবান্ন! পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিশাল প্রকল্প থেকে বাংলা বাদ!

সময়ে তালিকাই জমা দিতে পারেনি নবান্ন! পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিশাল প্রকল্প থেকে বাংলা বাদ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউনের কারণে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা এখন রাজ্যে ফিরতে শুরু করেছেন। নুন আনতে পান্তা ফুরোনো সেই সমস্ত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে “প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যান যোজনা” প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী 20 জুন বিহারের খাগারিয়া জেলার পঞ্চায়েত ভবন থেকে এই নতুন প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কেন্দ্রের এই প্রকল্প থেকে এবার বাদ পড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের এই দশা, সেখানে কেন কেন্দ্রের এই প্রকল্প থেকে তারা বাদ পড়ছেন! বাস্তব তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এল ভয়ংকর তথ্য। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

যেখানে তিনি জানিয়েছেন, দেশের ছটি রাজ্য অর্থাৎ বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড এবং উড়িষ্যা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কেন বাদ? এদিন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নির্মলা সীতারামন বলেন, “বাংলাকে বাদ দেওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। কিছু শর্ত পূরণের প্রয়োজন ছিল।” আর তার পরেই গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন সচিব নাগেন্দ্রনাথ সিনহাকে বলার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার পরেই এর প্রকৃত কারণ ব্যাখ্যা করেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন সচিব। তিনি বলেন, “কোনো জেলায় ন্যূনতম 25 হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এলে সেই জেলাকে এই প্রকল্পের আওতায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেঝয়া হয়। রাজ্যগুলোকে বলা হয় 15 জুনের মধ্যে সেই তালিকা দিতে। বাংলায় হয়ত এত শ্রমিক ফিরতে পারেনি বা সেই ব্যাপারে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।” অর্থাৎ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন সচিবের এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় রাজ্যের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে।

অর্থাৎ রাজ্য সঠিক সময়ে কেন্দ্রকে তথ্য দেয়নি এবং তার কারণেই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে এই সাহায্য যে পৌঁছচ্ছে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রশাসক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অনেক রাজ্যের মধ্যে বাংলা অন্যতম রাজ্য, যেখানে হুহু করে পরিযায়ী শ্রমিকরা এখন ঢুকতে শুরু করেছেন। যার কারণে আশ্চর্যজনকভাবে বাংলায় বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে একেবারে এত পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে প্রবেশ করানো নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতাদের পক্ষ থেকে তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। যার জেরে পরিযায়ী শ্রমিক এখন বাংলার রাজনীতির অন্যতম প্রধান ইস্যু। আর এমতাবস্তায় যখন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তখন তাতে বাংলার নাম না থাকায় যেভাবে বাংলার সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলল কেন্দ্রীয় সরকার, তাতে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করার প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে রাজ্য তথ্য না দেওয়ার কারণেই কি বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা কেন্দ্রের সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ! রাজনৈতিক মহলের নজর থাকবে সেই দিকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!