প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে বিরোধীদের একটাই অভিযোগ যে, পুলিশকে দলীয় কাজে ব্যবহার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার আর সেই অভিযোগ নয়, রাজ্য সরকারের প্রধান দপ্তর নবান্নকেও রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। যে নবান্ন থেকে সরকারি কাজকর্ম করা উচিত, সেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে যেভাবে রাজনৈতিক কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিযোগ যে একেবারেই অমূলক নয়, তা মেনে নিচ্ছেন প্রশাসনিক মহলের একাংশ।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নবান্নে দিল্লি এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই তিনজন মিলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন বিজেপির বিরুদ্ধে। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন যে, বিজেপি সংবিধানের অপব্যবহার করছে। একাধিক রাজনৈতিক কথা বলে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর এই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার অভিযোগ, দুই ধারে অশোক স্তম্ভ এবং জাতীয় পতাকার তলায় বসে সরকারি কার্যালয়কে দলীয় কার্যালয় পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি রাজনৈতিক কথা বলেছেন। যা একেবারেই উচিত নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক আক্রমণ বিজেপিকে করতেই পারেন। কিন্তু যেভাবে তিনি নবান্নের মত সরকারি দপ্তরকে এই রাজনৈতিক আক্রমণের ক্ষেত্রে কাজে লাগাচ্ছেন, তা নিতান্তই দুর্ভাগ্যজনক। আর সেই বিষয়েই প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীর নীতি নৈতিকতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।