এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নবান্নের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও মানা হচ্ছে না রোস্টার! করোনা আবহে চরম অস্বস্তিতে সরকারি কর্মীরা

নবান্নের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও মানা হচ্ছে না রোস্টার! করোনা আবহে চরম অস্বস্তিতে সরকারি কর্মীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রতিটি পুরসভায় এবার থেকে রোস্টার মেনে কাজ করা হবে। এবং 50% কর্মীদের নিয়েই কাজ চালাতে হবে। কিন্তু এবার অভিযোগ উঠেছে নবান্নের সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি একপাশে সরিয়ে রেখে নিজের মতন করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে হলদিয়া পুরসভা। আর সেক্ষেত্রে মানা হচ্ছেনা কর্মীদের হাজিরা হওয়ার নিয়ম। অন্যদিকে আরো অভিযোগ উঠছে, হলদিয়াতে এমনিতেই করোনার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে লাগামছাড়া হারে। সেক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যেহেতু হলদিয়া পুরসভার কর্মচারীদের প্রত্যেকদিন দূর-দূরান্ত থেকে অফিসে আসতে হচ্ছে, এমনকি বিভিন্ন কনটেইনমেন্ট জোন থেকেও কর্মীরা হলদিয়া পুরসভার কাজে যোগ দিতে আসছেন, তাই করোনাবিধি কতটা মানা হচ্ছে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এর সাথেই করোনা সংক্রমণ নিয়ে পুরসভার কর্মচারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ভয় ও সন্দেহের বাতাবরণ। অন্যদিকে কর্মীদের অভিযোগ, পুরসভার অন্দরেও নেই সামান্যতম করোনা সুরক্ষার ব্যবস্থা।

এই পরিস্থিতিতে নিয়মিত অফিসে আসা যে রীতিমতন দুষ্কর হয়ে উঠেছে, সে সম্পর্কে জানাতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চাপা অসন্তোষ প্রকাশ করছেন পুরকর্মীরা। ইতিমধ্যে হলদিয়া পৌরসভার কাউন্সিলরদের একাংশও পুরকর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্য পুরো বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, হলদিয়া পুরকর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদাসীন। অন্যদিকে হলদিয়া পুরসভায় কাজে যোগ দিতে যে সমস্ত কর্মচারীকে প্রতিদিন আসতে হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অন্তত 60-65 জন কর্মী তমলুক, বাজকুল, মহিষাদল, নন্দীগ্রাম প্রভৃতি দূরবর্তী এলাকা থেকেও আসছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কর্মীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন 50% কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে, যেহেতু রাজ্য জুড়ে করোনার প্রকোপ বেড়ে গেছে। কিন্তু হলদিয়া পুরকর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের নির্দেশ উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রতিদিন সমস্ত কর্মচারীকে আসতে বাধ্য করা হচ্ছে। কর্মীরা আরও জানিয়েছেন, পুরসভার চেয়ারম্যান এবং এক্সিকিউটিভ অফিসারের দ্বন্দ্বের কারণে ডিউটি রোস্টার বার করা হচ্ছে না। তবে এক্ষেত্রে পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল কুমার আদক জানিয়েছেন, হলদিয়া পুরসভার অফিস অনেক বেশি খোলামেলা। সেক্ষেত্রে কর্মীদের ভয়ের কোন কারণ নেই।

অন্যদিকে হলদিয়া পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার রবীন্দ্রনাথ জানা জানিয়েছেন, যেহেতু শিল্পাঞ্চল ভিত্তিক জায়গা হলদিয়া তাই এখানে জল, বিদ্যুৎ, সাফাই সহ জরুরী পরিষেবা দেওয়ার জন্য বহু কর্মীর প্রয়োজন হয়। তাই কাউকেই ছুটি দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরো জানান, যাতে পুর কর্মচারীরা নির্দিষ্ট সময় কাজে আসতে পারেন তার জন্য দুটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে কর্মীদের অভিযোগ, পুরসভার বাস অর্ধেক রাস্তা পৌঁছে দেয়। তারপর কর্মীদের পাবলিক বাসে বা বেশি ভাড়া দিয়ে অন্যান্য যানবাহনে চেপে বাড়ি ফিরতে হয়।

অনেকে যানবাহনের ভাড়া বাঁচাতে এবং সাবধানতাহেতু দীর্ঘপথ বাইকে যাতায়াত করছেন। তবে হলদিয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী আগস্ট মাস থেকে পুরসভা কর্মচারীদের জন্য রোস্টার সিস্টেম চালু হতে পারে। অন্যদিকে হলদিয়া পুরসভার এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তের জন্য প্রশ্ন উঠেছে কর্মীদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে। অনেকেরই দাবি, কর্মচারীদের যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হন তাহলে সে দায়িত্ব কে নেবে? যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে 50% কর্মী নিয়ে কাজ চালাচ্ছেন, সেখানে হলদিয়া পৌরসভা করোনা আবহে কি করে 100% কর্মীকে কাজে যোগ দিতে বলছেন তা নিয়ে এবার শুরু হয়েছে জোর সমালোচনা। আপাতত এই ঘটনার রেশ নবান্ন পর্যন্ত গড়ায় কিনা সে দিকেই এখন নজর থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!