এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নব্যরা দলে এসেই পদ পাবেন? বড়সড় বিদ্রোহের ইঙ্গিত তৃণমূলে, চিন্তা বাড়ছে মমতার!

নব্যরা দলে এসেই পদ পাবেন? বড়সড় বিদ্রোহের ইঙ্গিত তৃণমূলে, চিন্তা বাড়ছে মমতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একের পর এক তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা সামনে আসছে বর্তমানে। ঊনিশের এর লোকসভা নির্বাচনের পরেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যজুড়ে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার জন্য। কিন্তু তাতে যে বিশেষ কাজ হয়নি, তা আবারও লক্ষণীয়। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলেন, জঙ্গলমহলের তৃণমূলের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল একমাত্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর জঙ্গলমহলে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়েছে যে বিরোধী দল বিজেপি, সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এবারেও ব্লক সভাপতি নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে পুরুলিয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক বদল হয়েছে, যার হাত ধরে পুরুলিয়ার জেলা সভাপতিও বদল হয়েছে। এবার আসছে পুরুলিয়ার ব্লক কমিটির বদল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত নতুন ব্লক সভাপতিদের নাম সামনে আসেনি। তার আগেই অবশ্য প্রকাশ্যে এসেছে একটি চিঠি। যা নিয়ে তীব্র অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। জানা গিয়েছে পুরুলিয়ায় তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডুকে ওই চিঠি লেখা হয়েছে। এবং চিঠিতে জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যদের সই রয়েছে।

স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে অন্যতম হলেন ফটিকচন্দ্র গোস্বামী। তিনি জানিয়েছেন, দলীয় কর্মীদের কথাই জানানো হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নতুন কোনো মুখ বা সদ্য দলে প্রবেশকারী কেউ ব্লক সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন, তাহলে তাঁকে সভাপতি হিসেবে মেনে নেওয়া হবেনা। প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কি ব্যবস্থা তা খোলসা করা হয়নি। সেক্ষেত্রে ব্লকের প্রথম সারির এক নেতাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার দাবি করা হয়েছে এই চিঠিতে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, জয়পুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি চঞ্চল মৈত্র এবং জয়পুর রাজপরিবারের সদস্য তথা বিজেপি নেতা শংকর নারায়ণ সিংহ দেও সম্প্রতি পুরুলিয়ায় এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সে প্রসঙ্গ তুলে এদিন ফটিক চন্দ্র গোস্বামী জানিয়েছেন, দলের সবাইকে স্বাগত। কিন্তু তৃণমূল করেনি এমন কেউ বা সরাসরি অন্য দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ব্লক সভাপতি হলে তাঁকে দলের কেউ মানবেনা। তবে পুরুলিয়ার জয়পুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আজকের নয়, বহু দিনের। ব্লক কমিটি সেখানে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরেই ব্লক সভাপতি নেই। আগের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো কাজ পরিচালনা করতেন। পরবর্তীতে 2016 সালে বিধানসভা নির্বাচনে শক্তিপদ মাহাতো প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হবার পরেই শুরু হয় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সেসময় অবস্থা সামাল দেন শান্তিরাম মাহাতো নিজে।

2016 বিধানসভা নির্বাচনে জয়পুরে তৃণমূল জিতলেও দুই শিবিরের সম্পর্ক যে জোড়া লাগেনি, তা দলের নিচুতলার কর্মীদের বক্তব্যেই স্পষ্ট। অন্যদিকে, এই চিঠি সংক্রান্ত ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চাননি জয়পুরের তৃণমূল নেতা কীর্তন মাহাতো। এ সংক্রান্ত কোন প্রতিক্রিয়াও জানা যায়নি তৃণমূলের জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডুর। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের মত, এই মুহূর্তে তৃণমূলের কাছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সব থেকে বড় বাধা তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবং এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যদি এখনই সমূলে বিনষ্ট না করা যায়, তাহলে আগামী দিনে ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে শাসকদল বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!