নব্য সাংসদ তৃণমূলে পদ পেতেই চাপে পড়ে গেলেন হেভিওয়েট মন্ত্রী? গুঞ্জন বাড়ছে জেলা রাজনীতিতে কলকাতা রাজ্য July 26, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলে নানা জেলায় নানা নেতার উত্থান ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় দলের কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে সাংসদ খলিলুর রহমানকে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাপে পড়েছেন সাংসদের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন। দল দায়িত্ব দেওয়ার পর সকলকে নিয়ে একসাথে নেতারা কাজ করবেন বলে মনে করা হলেও, এবার বিরোধী গোষ্ঠির নেতাকে কার্যত কোণঠাসা করাই দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এরকম করেই যদি চলতে থাকে, তাহলে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিছুতেই কমবে না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানকে জেলার কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়ায় এখন ধীরে ধীরে গুরুত্ব কম করানোর চেষ্টা হচ্ছে মন্ত্রী জাকির হোসেনের। অভিযোগ, একপি সভার ফেস্টুনে সাংসদের ছবি থাকলেও, সেখানে মন্ত্রীর ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক তরজার সৃষ্টি হয়েছে গোটা জেলা জুড়ে। বস্তুত, এতদিন জাকির হোসেন এবং সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামের ডাকা কোনো সভাতেই ডাক পেতেন না জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান। কিন্তু এবার তিনি মুর্শিদাবাদের আটটি বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দলের পক্ষ থেকে পাওয়ায় খলিলুরবাবুর প্রভাব অনেকটাই বাড়ল। যার পরিপ্রেক্ষিতে চাপে পড়তে পারেন জাকির হোসেন এবং তার গোষ্ঠী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর মহাকুমা তৃণমূল সভাপতি বিকাশ নন্দ বলেন, “জেলার বাইশটি বিধানসভার মধ্যে আটটি তার দখলে থাকবে। এটা কি কম কথা! বিধানসভা নির্বাচনের আগে তো তার গুরুত্ব বাড়ল। দলের বিভিন্ন জায়গায় সভা করলেও, সাংসদ হলেও তাঁকে ডাকা হত না। এখন জঙ্গিপুরে দল সম্পর্কে কোনো কর্মসূচি হলে খলিলুর রহমানকে বাদ দেওয়া যাবে না।” তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি তারা এভাবে কোণঠাসা হতে শুরু করেন, তাহলে তো তারা দলে অনেকটাই গুরুত্ব হারিয়ে ফেলবেন! এদিন এই প্রসঙ্গে খলিলুর রহমানের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা তথা বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, “দল যা ভালো বুঝবে, তাই করেছে। তবে একটা কথা মনে রাখা দরকার, আমরা সবাই যদি আন্তরিকভাবে কাজ করি, তবেই দল শক্তিশালী হবে।” এদিকে এই ব্যাপারে মন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, “দলনেত্রী যা ভালো বুঝেছেন, করেছেন। তাঁর নির্দেশ মেনে চলি। আগামীদিনে সেটাই চলব।” তবে দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই খলিলুর রহমান যদি তার বিরোধী গোষ্ঠির নেতাদের কোণঠাসা করতে শুরু করেন, তাহলে তার পক্ষে তা বিচক্ষণতার কাজ হবে না। কেননা তাহলে দলের কর্মীরা আবার তার বিরুদ্ধে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ করবে। সেক্ষেত্রে খলিলুরবাবু এখন এই সমস্ত বিপক্ষীয় নেতাদের আপন করে নিয়ে নিজের দায়িত্ব কতটা সামলাতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে। সেদিক থেকে তিনি যদি তা পালন করতে না পারেন, তাহলে প্রশ্ন উঠবে খলিলুর রহমানের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। তাই এখন সমস্ত রকমের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দিয়ে এই সমস্ত নেতাদের কতটা আপন করে নিয়ে দলকে সংঘবদ্ধভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -