নাড্ডার পাল্টা মমতা, বাংলায় এনআরসি হতে দেব না, গর্জে উঠলেন অগ্নিকন্যা কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য December 25, 2019 সম্প্রতি দেশজুড়ে লাগু হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। আর এই আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই তার তীব্র বিরোধিতা করে আসছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই এই আইনের বিরোধিতা করে কলকাতার রাজপথে নামতে দেখা গেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একাধিক পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে সভা-সমিতি করে এই আইনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন তিনি। ডাক দিয়েছেন এই আইন বাতিল করার। সম্প্রতি এই নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে কলকাতায় বিশাল মিছিল করে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। যে মিছিলে ব্যাপক জনসমাগম কিছুটা হলেও ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে দমাতে মঙ্গলবার ফের রাস্তায় নামতে দেখা গেল তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার স্বামী বিবেকানন্দের ভিটে থেকে বেলেঘাটার গান্ধী ভবন পর্যন্ত মিছিল করেন তৃণমূল নেত্রী। আর সেই মিছিলের পরেই বেলেঘাটায় ভাষণ দিতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপিকে কার্যত তুলোধোনা করেন তিনি। যেখানে স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, “এখানে সিএএ, এনআরসি কিচ্ছু হবে না। কে করবে এনআরসি! এখানে কোনো ডিটেনশন ক্যাম্প নেই। হবেও না। আমি এক কথার মানুষ হবে না। যখন বলেছি হবে না। তখন কিছুতেই হবে না। সে আমার গলা কেটে নিলে নিক।” জানা যায়, সোমবার বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি মতুয়াদের কথা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এদিন জেপি নাড্ডার কথা নিজের মুখে না বললেও, পরোক্ষে তার বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি বলেন, “মতুয়া মতুয়া করছ। এতদিন কোথায় ছিলে! বড়মাকে কে দেখেছে গত 30 বছর ধরে! হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসার খরচটা এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহন করেছে। উদ্বাস্তু হয়ে আসা মানুষদের বলা হচ্ছে, তারা নাগরিক নয়। উদ্বাস্তুদের জমির দলিল আমি দিয়েছি।” শুধু তাই নয়, এদিন বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করে আরও আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কালকে দেখুন বিজেপি নেতারা এল, আর গাড়ি করে ফুর্তি করে মিছিল করে চলে গেল। হাটতেও পারে না। হাটলে কোমর ব্যথা হবে, টাটা করে চলে যাচ্ছে।” পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে তাদের প্রতিনিধি দল গেলেও, কেন তাদের আটকানো হল! তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রী। পরিশেষে এনআরসি বিরোধী সভা থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, “বাংলায় সবাই এক হয়ে থাকবে। এখানে কোনোভাবেই আমি এনআরসি হতে দেব না।” বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের এনআরসি বিরোধী সভা থেকে যেমন বাংলায় এনআরসি হবে না বলে জানিয়ে দিলেন, ঠিক তেমনই বিজেপির কার্যকরী সভাপতিকেও নাম না করে আক্রমণও শানালেন। যা নিঃসন্দেহে আগামীদিনে রাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -