প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে রীতিমত উঠে পড়ে লেগেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। অন্যান্য জেলার পাশাপাশি বীরভূম জেলা যে তাদের পাখির চোখ, তা বারেবারেই প্রমাণ করে দিচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। ইতিমধ্যেই প্রায় একমাস আগেই বীরভুমের বোলপুর রোড শো করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেই বীরভূমে রাজনৈতিক সভা করতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে।

মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে বিজেপির পক্ষ থেকেই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই সকাল থেকে এই সভাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। তবে সেই সভা শেষে সেখানে ঠিক কত লোক হয়েছে, সেই ব্যাপারে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

সূত্রের খবর, এদিন অনুব্রত মন্ডল সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “জেপি নাড্ডার সভায় এক হাজার লোক এসেছে। খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে তাই লোক হয়নি। খেলা না হলে লোক থাকত। খেলা আবার হবে।” অর্থাৎ অনুব্রতবাবু এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, বীরভূম জেলায় তৃণমূলের সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী। এখানে বিজেপি পড়ে থেকেও লাভের লাভ কিছুই করতে পারবে না। একাংশের দাবি, প্রতিবার নির্বাচনের আগে চমকপ্রদ বক্তব্য দিয়ে শোরগোল তুলে দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

এক্ষেত্রে তার বক্তব্যের পর বিরোধীদের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসের অভিযোগ করা হয়। আর এবার সেই বীরভূম জেলাতে তৃণমূলকে চাপে রাখতে রীতিমত উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা। তাই মাঝেমধ্যেই রাজ্যে এসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা সেই বীরভূমকে বেছে নিচ্ছেন তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য। কিন্তু এবার সেই বীরভূমে রাজনৈতিক কর্মসূচি করলেও, সেখানে মোটে হাজার লোক হয়েছে বলে বিজেপিকে পাল্টা চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন অনুব্রত মণ্ডল।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অনুব্রত মণ্ডল নিজের জেলায় তৃণমূলের সংগঠনকে অত্যন্ত শক্তিশালী করে তুলেছেন। নির্বাচনের বহু আগে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমিতি করে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন তিনি। প্রায় প্রতিটি সভা থেকেই বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। তবে এর আগে অমিত শাহ বোলপুরে রোড শো করার পর পাল্টা বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারপর একটি কর্মসূচি করেন অনুব্রত মণ্ডল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর তৃণমূল নেত্রীর সেই পদযাত্রায় রেকর্ড সংখ্যক জমায়েত হয়েছিল। যার পেছনে ছিল অনুব্রত মণ্ডলের অবদান বলেই মনে করেন সকলে। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই অনুব্রত মণ্ডল জেপি নাড্ডার সভার পরে বিজেপির সভায় কত লোক হয়েছে, তা জানিয়ে দিয়ে গেরুয়া শিবিরকে পর্যুদস্ত করার চেষ্টা করলেন। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।