এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > নাড্ডার সভায় গিয়েও ফের ফিরে এসে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মুকুল

নাড্ডার সভায় গিয়েও ফের ফিরে এসে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মুকুল


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই মুকুল রায়ের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে দাবি করতে শুরু করেন একাংশ। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সেই মুকুল রায়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। যার কারণে কিছুদিন আগেই তাকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এমত একটা পরিস্থিতিতে বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা রাজ্যে আসলেও, সেখানে ঐক্য বজায় রাখতে দেখা যাচ্ছিল না বিজেপির অন্দরমহলে।

যেখানে মুকুল রায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকলেও, বেশ কিছুক্ষণ পরেই বেরিয়ে যেতে দেখা যায় তাকে। যার ফলে মুকুলবাবুর সঙ্গে দলের দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পেল বলে দাবি করতে শুরু করেন একাংশ। তবে নানা মহলের তরফে যে কথাই বলা হোক না কেন, বা মুকুল রায়কে যে নিয়ে জল্পনাই তৈরি হোক না কেন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কর্মসূচি থেকে ফিরে এসে ফের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল সেই মুকুল রায়কে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার রাত থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের মারধর এবং বিজেপির ফ্লেক্স ছিড়ে দেওয়ার মতো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। আর সেই প্রসঙ্গেই এদিন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। তিনি বলেন, “সারা বাংলায় জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। সরকার একটা নামে আছে এবং সেটা একদলীয় সরকার। এর বিরুদ্ধে আর কিছু বলার নেই।”

এদিকে ডায়মন্ডহারবারের বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ওই দিন মুখ খোলেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, “সারা বাংলা জুড়ে হচ্ছে। অতএব এখানে আর নতুন করে কিছু বলার নেই।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুকুল রায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকলেও, বেশ কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে তার বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই দাবি করতে শুরু করেছিলেন, মুকুল রায়ের সঙ্গে দলের দূরত্ব জোরালো হতে তৈরি শুরু করেছে। কিন্তু সেই সমস্ত জল্পনা-কল্পনাতে কার্যত জল ঢেলে দিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আবার মুখ খুলে মুকুল রায় প্রমাণ করে দিলেন, তাকে নিয়ে যে প্রচার করা হচ্ছে, তার সম্পূর্ণটাই মিথ্যে। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব খুব ভাল করেই জানে মুকুল রায়কে ছাড়া তৃণমূলকে চাপে ফেলা অত্যন্ত সমস্যা। লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তীতে সেই মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলকে ভাঙ্গার চেষ্টা করে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এক্ষেত্রে তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি সেই মুকুল রায়ের হাত ধরে যোগদান করে বিজেপিতে। এমনকি বর্তমানেও তৃনমূলে ব্যাপক ভাঙ্গনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায় যদি দলত্যাগ করেন বা বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে নেন, তাহলে গেরুয়া শিবির অত্যন্ত চাপে পড়বে। আর এই অবস্থায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি রাজ্যে আসলেও, তার বেশিরভাগ কর্মসূচিতে দূরত্ব অবলম্বন করতে দেখা যায় মুকুল রায়কে।

এমনকি একটি কর্মসূচিতে কিছুটা সময় থাকলেও, পরবর্তীতে সেই কর্মসূচি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। যার পরবর্তী সময়কালে সেই মুকুল রায়কে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয় রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আবার সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে নিজেকে বিজেপির প্রতি আনুগত্য ব্যক্তি হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন বঙ্গ বিজেপির চাণক্য মুকুল রায় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!