নদীয়ার 2 আসনেই বামেদের হিন্দুভোটে বড়সড় ধ্বস বলছে পার্টি অভ্যন্তরীণ সমীক্ষাই নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য May 8, 2019 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের পর বামেদের ভোটব্যাংকে অনেকটাই ধ্বস নামতে শুরু করেছে। আর রাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকে যত নির্বাচন এসেছে তত নির্বাচনেই পর্যুদস্ত হতে হয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের। আর এবার 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই সংগঠন ভেঙ্গে যাওয়া বামেদের ভোট বিজেপির দিকে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। সদ্য রাজ্যের বেশ কটি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম নদীয়া জেলার লোকসভা কেন্দ্রগুলি। আর এই নদীয়ার লোকসভা ভোটে বামেদের অনেক ভোট পদ্ম শিবিরের দিকে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করতে শুরু করেছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, গত 2014 সালে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে 29 শতাংশ এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে 28 শতাংশ ভোট ছিল বামেদের। আর এরপর গত 2016 সালে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভোট যুক্ত হয়ে এখানে দুই দলের যৌথ ভোটের হার ছিল 33 শতাংশ, অন্যদিকে কংগ্রেসকে বাদ দিলে বামেদের ঝুলিতে ভোট পড়েছিল 25 শতাংশ ভোট। কিন্তু বামেদের ভোট যদি সুইং হয়ে অন্য কোন দলের ঝুলিতে পড়ে, তাহলে কি সুবিধা হবে তৃণমূলের? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “বামেদের বেশিরভাগ ভোট স্যুইং হয়ে আমাদের পক্ষেই আসবে।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বিজেপি নদিয়া উত্তর জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “তৃনমূলের বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই করেছে বিজেপি। তাই বামেদেরকে ভোট দিয়ে সেই ভোটকে নষ্ট করতে চায়নি কেউ। তাই সিপিএমের সুইং করা সিংহভাগ ভোটই আমাদের পক্ষে আসবে।” কিন্তু সত্যিই কি তাই? বামেদের ভোট কি তাহলে ভাগাভাগি হয়ে অন্য রাজনৈতিক দলের ঝুলিতে পড়বে? এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়া জেলা সিপিএমের সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “গমন আগমন এবার দুটোই ঘটেছে। যেমন আমাদের ভোট অন্যত্র স্যুটিং করেছে, তেমনই বড় অংশের ভোট ফিরে এসেছে। শাসক-বিরোধী ভোট আমাদের পালেই এসেছে।” সব মিলিয়ে বামেদের ভোট কি হবে তা নিয়ে বড়সড় জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। আপনার মতামত জানান -