এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নাগড়াকাটা ও ধূপগুড়ি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বড় বার্তা দিলেন দুই দলীয় বিধায়ক

নাগড়াকাটা ও ধূপগুড়ি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বড় বার্তা দিলেন দুই দলীয় বিধায়ক

নিজেদের এলাকার আরও বেশি করে উন্নয়ন চান নাগরকাটা ও ধূপগুড়ির দুই তৃনমূল বিধায়িক মিতালি রায় এবং শুক্রা মুন্ডা। আর তাই এবারে রাজ্য সরকারের কাছে নতুন একটি আবেদন করতে চলেছে তাঁরা। কিন্তু কি সেই আবেদন? জানা গেছে, জলপাইগুড়ির মধ্যে থেকেও নাগরাকাটা এবং ধূপগুড়ি উন্নয়নের দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের টাকা দিয়ে এই এলাকার উন্নয়ন করতে হয়। তাই এসজেডিএকে যদি এই দুই বিধানসভার মধ্যে অর্ন্তর্ভুক্ত করা যায় তাহলে এলাকার উন্নয়ন আরও বাড়বে বলে মত এই দুই বিধায়কের। তাই ধূপগুড়ি এবং নাগরাকাটার চারটি ব্লককে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কতৃপক্ষ বা এসজেডিএর অন্তর্ভুক্তির জন্য জেলার জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন এই দুই বিধায়ক। কিন্তু কি এই এসজেডিএ?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির দুই শহরের উন্নয়নের জন্য সেখানকার কিছু এলাকা নিয়ে 1980 সালে তৈরি হয় এই এসজেডিএ। কিন্তু বর্তমানে শিলিগুড়ির বিধাননগর থেকে ময়নাগুড়ি পর্যন্ত নটি বিধানসভা এবং দুই জেলার 11টি ব্লক এই এসজেডিএর আওতায় রয়েছে। আর যার মধ্য থেকে বাদ ধূপগুড়ি এবং নাগরাকাটা এলাকা। তাই এবার সেই সমস্ত এলাকাও এই এসজেডিএর আওতায় নিয়ে আসতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জেলাশাসকের কাছে আবেদন করলেন এই দুই বিধানসভার তৃনমূল বিধায়ক।

এদিন এই প্রসঙ্গে ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায় বলেন, “এসজেডিএর ফান্ড সবাই পাচ্ছে। তাহলে আমরা কেন বাদ থাকব? ধূপগুড়ির উন্নয়ন খুবই প্রয়োজন। এখানে অনেক চাবাগান রয়েছে। তাই এসজেডিএর মধ্যে ধূপগুড়ির অন্তর্ভুক্তিকরন খুবই দরকার।” অন্যদিকে ডুয়ার্সের মধ্যে সবথেকে পিছিয়ে পড়া এলাকা নাগরকাটার বিধায়ক শুক্রা মুন্ডা বলেন, “ময়নাগুড়ি এসজেডিএর মধ্যে এলেও নাগরাকাটাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না কেন? এখানে অনেক সেতু রয়েছে। আমরা রাজ্যের কাছে তাই এই দুই বিধানসভাকে এসজেডিএর আওতায় নিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছি।” তাহলে কি এই ধূপগুড়ি এবং নাগরাকাটা এসজেডিএর আওতায় আসছে?

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই প্রশ্নের উত্তরে এই এসজেডিএর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “কোনোও এলাকা এসজেডিএর অন্তর্ভুক্ত হলে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের টাকায় সরাসরি আমরা কাজ করতে পারি না। দুই বিধায়ক তাদের বিধানসভাকে এই এসজেডিএর আওতায় আনার জন্য রাজ্যের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। আমার কাছেও এই প্রস্তাবের প্রতিলিপি এসেছে। এসজেডিএর অন্তর্ভুক্ত হলে সেখানেও স্বাভাবিক নিয়মেই কাজ হবে।” সব মিলিয়ে এলাকার উন্নয়নের এসজেডিএর অন্তর্ভুক্তিকরন চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই তৃনমূল বিধায়ক সরকারের তরফে এই ব্যাপারে সবুজ সংকেত পান কি না সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!