এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > নৈহাটি ও গাড়ুলিয়া পৌরসভা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা, শেষ পর্যন্ত কার হাতে থাকবে রাশ – জল্পনা তুঙ্গে

নৈহাটি ও গাড়ুলিয়া পৌরসভা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা, শেষ পর্যন্ত কার হাতে থাকবে রাশ – জল্পনা তুঙ্গে

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সাফল্য পাওয়ার পরেই রাজ্যের অনেক পৌরসভার কাউন্সিলররা তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করে। যার ফলে নৈহাটি, গাড়ুলিয়ার মত পৌরসভাগুলো বিজেপির দখলে চলে আসে। কিন্তু যে সমস্ত কাউন্সিলররা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন, তারা ফের বর্তমানে তৃণমূলের ফিরে যেতে শুরু করেছেন। যার ফলে দখল হওয়া পৌরসভায় এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।

জানা গেছে, আগামী 16 অক্টোবর বারাসাত জেলাশাসক দপ্তরে নৈহাটি পৌরসভার অনাস্থার সভা অনুষ্ঠিত হবে। 31 আসন বিশিষ্ট এই নৈহাটি পৌরসভায় বর্তমানে তৃণমূলের 26 জন এবং বিজেপির 5 জন কাউন্সিলর রয়েছে। তাই সেদিক থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। আর লোকসভা নির্বাচনের পর পৌরসভা দখল করেও কাউন্সিলররা ফের তৃণমূলে ফিরে যাওয়ায় এবং নিজেদের দখলে মোট পাঁচজন কাউন্সিলর থাকায় হার নিশ্চিত জেনেই এবার এই অনাস্থার সভায় বিজেপি অংশগ্রহণ করবে না বলে দাবি করছে একাংশ।

তবে শুধু নৈহাটি পৌরসভা নয়, গাড়ুলিয়া পৌরসভার ক্ষেত্রেও কার্যত দেওয়ালে পিঠ থেকে যাওয়ার জোগাড় গেরুয়া শিবিরের বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কেননা সম্প্রতি এই গাড়ুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করতে দেখা গেছে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি বিধায়ক সুনীল সিংকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অপরদিকে এই পৌরসভায় সুনীল সিংয়ের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত মুখোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিলেও তিনি ফের তৃণমূলের ফিরে গিয়েছেন। পাশাপাশি সুনীল সিংহের দাদা চন্দ্রভান সিংহ ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। যার ফলে এই গারুলিয়া পৌরসভায় তৃণমূলের পক্ষে মোট 13 জন কাউন্সিলর রয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষে 7 জন এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষে একজন কাউন্সিলর রয়েছেন। আর এখানেই বুঝতে বাকি নেই যে, এই গাড়ুলিয়া পৌরসভার অনাস্থা ভোটে জয়লাভ করতে চলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে এই পৌরসভা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় অনাস্থার সভাতে বিজেপির অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এদিকে নৈহাটি এবং গারুলিয়া পৌরসভা যদি বিজেপির হাতছাড়া হয়ে যায়, তাহলে একমাত্র তাদের দখলে থাকা ভাটপাড়া পৌরসভা টিকিয়ে রাখা গেরুয়া শিবিরের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। যার কারণ হিসেবে বিজেপি নেতাদের একাংশ বলছেন, পৌরসভার অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্পে রাজ্য সরকার ঠিকমত টাকা দিচ্ছে না। যার ফলে সেই উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আর তাই পুরসভা চালাতে গিয়ে প্রতিদিন অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর সাময়িকভাবে কিছুদিনের জন্য তৃণমূল থেকে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার এসে তাদের নিয়ে বিজেপি যে সমস্ত পৌরসভা দখল করল, সেই সমস্ত কাউন্সিলার আবার কেন বিজেপি থেকে তৃণমূলের ফিরে গেল! তাহলে এতে বিজেপির ঠিক কি লাভ হল!

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির এক নেতা বলেন, “বিজেপি একটি সাংগঠনিক সর্বভারতীয় দল। সেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধি অপেক্ষা সাংগঠনিক পদে থাকা নেতারাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দল আদর্শ নিয়ে চলে। বিজেপিতে তৃণমূলের কাউন্সিলররা কোনো পদ পাননি। তারা ভেবেছিলেন বিজেপিতে লুটেপুটে খাবেন, তাই তারা খেতে না পেরে পুরোনো দলে ফিরে গিয়েছেন। তাদের জন্য তৃণমূলই উপযুক্ত দল।”

একইভাবে এই প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, “নৈহাটি পৌরসভায় তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসলে লুটেপুটে খাবে। ওরা যত লুটেপুটে খাবে, ততই আমাদের ভাল। গাড়ুলিয়া পৌরসভার ক্ষেত্রে অনাস্থার সভার দিন ঘোষণা হোক। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব। কাউকে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়নি।”

এদিকে নৈহাটি, গাড়ুলিয়ার পর ভাটপাড়া পৌরসভাতেও তারা ক্ষমতায় আসবেন বলে এদিন দাবি করেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। সব মিলিয়ে নানা মুনির নানা মত থাকলেও শেষ পর্যন্ত অনাস্থা সভার দিন এই নৈহাটি এবং গাড়ুলিয়া পৌরসভার ক্ষমতা কাদের দখলে থাকে! এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!