এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নক্ষত্রপতন! হেভিওয়েট প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রয়াত!

নক্ষত্রপতন! হেভিওয়েট প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রয়াত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মৃত্যু ও বিভীষিকার বছর হিসেবে ইতিহাসের পাতায় রয়ে যাবে ২০২০। ২০২০ তার বিষের বাঁশি বাজিয়ে কতজনের যে প্রাণ হরণ করবে, তার বুঝি ইয়ত্তা নেই? রাজনীতি জগতে পুনরায় ঘটে গেল এক বিরাট ইন্দ্রপতন। বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিং আজ সকালে পরলোক গমন করলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে টুইট করে সহযোদ্ধার মৃত্যুর দুঃসংবাদ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সেইসঙ্গে বিজেপির জনৈক প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশের রাজনৈতিক মহল। শাসক ও বিরোধী উভয় দলের বহু নেতা তাঁর মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করলেন। সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে টুইট করে শোকবার্তা জ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে তিনি বললেন, ” যশবন্তজি নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের দেশের সেবা করেছেন। প্রথমে একজন সৈনিক হিসেবে, পরে একজন রাজনীতিক হিসেবে। অটলজির সরকার থাকাকালীন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলেছেন। সমাজ এবং রাজনীতির জগতে অভাবনীয় চিন্তাভাবনার জন্য দেশ তাঁকে মনে রাখবে।”

ষাটের দশকে তাঁর রাজনীতির অঙ্গনে পাদচারণা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব ছিল তাঁর হাতে। অর্থমন্ত্রক, বিদেশমন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন। তাঁর মত এত দীর্ঘ সময় ধরে কোন মন্ত্রী সংসদে আসীন থাকেন নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

১৯৮০ সাল থেকে শুরু করে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ বার তিনি নির্বাচিত হয়েছেন রাজ্যসভার ও ৪ বার নির্বাচিত হয়েছিলেন লোকসভায়। আশির দশকে তিনি প্রথম রাজ্যসভায় এসেছিলেন। ২০০৪ সালে যখন বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতা চ্যুত হয়, তারপরেও তিনি বিরোধী দলনেতার ভূমিকায় দীর্ঘসময় অবতীর্ণ ছিলেন।

প্রসঙ্গত ১৯৩৮ সালের ৩ জানুয়ারি রাজস্থানের বারমের জেলার জসোল গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মেয়ো কলেজের পাঠ সম্পন্ন করে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমীতে পাঠরত ছিলেন। এরপর ষাটের দশকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে তাঁর যোগদান। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন অটলবিহারী বাজপেয়ী পরমাণু নীতি বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করার গুরুদায়িত্ব তাঁর হাতেই অর্পণ করেছিলেন। পোখরানে ভারতের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার নেপথ্যেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!