এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নাম না করে অমিত শাহকে এবার ‘বিশেষ’ অনুরোধ আরেক অমিতের

নাম না করে অমিত শাহকে এবার ‘বিশেষ’ অনুরোধ আরেক অমিতের


এনআরসির আতঙ্ক ক্রমশই বেড়ে চলেছে এরাজ্যে। আতঙ্কে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে সূত্রের খবর। অসমে এনআরসি তালিকা বেরোনোর পর বিজেপি এরাজ্যে রব তোলে এনআরসি প্রয়োগ করার। অন্যদিকে, আসামে এনআরসি তালিকা থেকে ইতিমধ্যে 19 লক্ষ মানুষের নাম বাদ গেছে। তার মধ্যে 11 লক্ষ হিন্দু আছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক গুজব রটেছে। আর সেই গুজবে কান দিয়ে এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। ঘটছে একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা। সেই ঘটনার দিকেই দিক নির্দেশ করে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অমিত শাহ কে হুঁশিয়ার করলেন।

শহরে পা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভাও করেন তিনি। সেই সভা থেকেই অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এনআরসি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে এবং তার ফলেই একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে।এই ঘটনার পরেই খিদিরপুরে একটি পুজো উদ্বোধন এসে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার করে অমিত সাহার উদ্দেশ্যে বলে দেন, “বাংলার পুজো দেখতে এসো। কিন্তু দয়া করে বিভেদ ছড়াতে এবং ঐক্য ভাঙতে এসোনা।”

প্রথম থেকেই এনআরসির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরসি বিরোধিতায় তিনি রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল করেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই এনআরসির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এরাজ্যে এনআরসি করা যাবে না। এদিন আবার তিনি বলেন, “এ বাংলার মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। বাংলায় সব ধর্ম-বর্ণ মিলিতভাবে উৎসবে সামিল হয়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এক অমিতের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আরেক অমিত বলেন। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অভিযোগ করেন, বিজেপি এখানে এনআরসি আতঙ্ক ছড়াতে এসেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে এদিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অভিযোগ করেন, “দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ধর্মের নাম করে বলছেন, কাদের দেশে রাখবেন, কাদের রাখবেন না। এই বিভাজন কি দেশের সংবিধান অনুমোদন করে? পুরো ব্যাপারটাই অসাংবিধানিক।”

অর্থমন্ত্রী এদিন প্রশ্ন তোলেন, “আমার ঠাকুরদা, বাবা যশোরে জন্মেছেন। আমি কলকাতায় জন্মেছি। আমার বার্থ সার্টিফিকেট নেই। আমাকেও তাড়িয়ে দেবে? আমি তো আতঙ্কিত! কি কাগজ দেখাব আমি!” অমিত মিত্র এদিন রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে বলেছেন, এ রাজ্যে এনআরসি চালু হলে অসমের মতনই এখানেও ডিটেনশন ক্যাম্প অর্থাৎ জেল তৈরি হবে। যা নিতান্তই ভয়াবহ বলে দাবি করেছেন তিনি।

অন্যদিকে রাজ্যের মহাসচিব এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এই বলে, “ভোটব্যাংকের জন্য সমাজকে দু’ভাগ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা মানছে না বিজেপি। এনআরসি-আতঙ্ক তৈরি না করে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ফারাক আগে স্পষ্ট করুক বিজেপি।”

তবে এনআরসি নিয়ে প্রথম থেকেই বিজেপি সরকার বলে এসেছে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে। একমাত্র এনআরসি হাতিয়ারই অবশিষ্ট। অনুপ্রবেশের ফলে রাজ্যের প্রতিবেশী দেশ থেকে বিভিন্ন দুষ্কৃতী ও সমাজ বিরোধীরা এদেশে এসে নানান সমাজ বিরোধী মূলক কাজ করে বেড়ায়, ঠেকাতে এনআরসি ছাড়া গতি নেই। তবে এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের জন্য এনআরসি নিয়ে কোন সরকারি নির্দেশনামা আসেনি। পরবর্তীতে এনআরসি সংক্রান্ত ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কি সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!