এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নাম না করে শুভেন্দুকে ফের আক্রমণ কল্যাণের, দলের অকল্যাণ দেখছে নেতা কর্মীরা

নাম না করে শুভেন্দুকে ফের আক্রমণ কল্যাণের, দলের অকল্যাণ দেখছে নেতা কর্মীরা


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে শাসকদল তৃণমূলের টানাপোড়েন অব্যাহত। দলে থেকেও দলের সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটাই গুটিয়ে ফেলেছেন তিনি। একের পর এক দলহীন জনসংযোগ করছেন তিনি। একাধিক সভা থেকে দলের নাম না নিয়েও শোনাচ্ছেন ক্ষুরধার বক্তব্য। এদিকে শাসকদলের অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা তিনি। তিনি যদি ভোটের মুহূর্তে দল ছেড়ে চলে যান। তবে যথেষ্ট বিপাকে পড়বে শাসকদল তৃণমূল। এজন্য তাঁকে দলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের।

তাঁকে দলে ফেরানোর চেষ্টাতে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবারও একটি বৈঠক হতে চলেছে। সম্প্রতি, রামনগরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী দলের প্রতি সুর নরম করেছিলেন। এবার দলের প্রতি তাঁর অভিমানের বরফ গলতে পারে বলে, মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু, এরপরই রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তির্যক মন্তব্য করলেন। এরপর শুভেন্দু অধিকারীর বিষয়ে আবারও বিরূপ মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

গতকাল শুক্রবার সরাসরি নাম না করেও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, গত ১৫ ই মার্চ ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে সিবিআই তদন্তের আদেশ যখন এসেছিল, তখন বড় বড় নেতারা সব ঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন। তাঁরা খাটের তলা থেকে বের হতে পারতেন না। তাঁর কথায়, সে সময় তিনি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা লড়েছিলেন। এরপর নাম না করেও শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তিনি জানালেন যে, তখন একদিনের জন্যও সময় দিতে পারেননি তিনি।

এরপর লক্ষ্মণ শেঠের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বললেন যে, লক্ষ্মণ শেঠ ছিলেন একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা। কিন্তু তাঁর অহংকার, তাঁর দুষ্কর্মের জন্য তাঁকে চলে যেতে হয়েছিল। মাটির সঙ্গে মিশে যেতে হয়েছিল তাঁকে। আজ কেউ তাঁর কথা মনে রাখে নি। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, কেউ যদি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নেত্রী, তিনি যদি দলে থাকেন, তবে আগামী দিনে সমস্ত রকমের সাহায্য, সহানুভূতি তাঁর উপর থাকবে। কিন্তু তিনি যদি তা না করেন, তাহলে বিরোধিতা আছে ও বিরোধিতা থাকবে। সবকিছু ভোগ করে অন্য রাজনৈতিক দলে চলে যাবেন এমনটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিপূর্বেও নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে, একেবারে তুইতোকারি ভাষায় তিনি জানিয়েছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামক গাছের তলায় বড় হয়েছেন, চারটে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন, চারখানা চেয়ার পেয়েছেন, অনেক পেট্রল পাম্প করেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে পৌরসভাতে আলু বিক্রি করতে হতো তাঁকে।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যর বিরুদ্ধে গতকাল শুভেন্দু অধিকারী বলাগড়ে জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, “আমি শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি। প্রাক্তন সাংসদ প্রয়াত অনিল বসু যখন কারও বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত অশালীন আক্রমণ করতেন তখন হুগলি জেলার মানুষ সেটা মেনে নেয়নি। আজ যদি কোনও বর্তমান জনপ্রতিনিধি আমার বা আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন, আপনারা কি মেনে নেবেন?”

প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারীকে পূর্ণ সম্মানে দলে ফেরাতে যখন সচেষ্ট হয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেসময় শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এরূপ তীর্যক মন্তব্য সে সম্ভাবনার পথে আরো কাঁটা বিছালো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!