এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বেসুরো গাইছেন শুভেন্দু! এবার ‘তুই-তোকারির’ নজিরবিহীন আক্রমন তৃণমূল সাংসদের! বাড়ছে অস্বস্তি?

বেসুরো গাইছেন শুভেন্দু! এবার ‘তুই-তোকারির’ নজিরবিহীন আক্রমন তৃণমূল সাংসদের! বাড়ছে অস্বস্তি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ক্রমশ দুশ্চিন্তা বাড়ছে শাসক দল তৃণমূলের। তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে উঠছে বার বার নানা প্রশ্ন। সরাসরি, নাম না করেত্ত তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে সরব যেমন হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, ঠিক তেমনি তৃণমূলের একাধিক নেতাও সরাসরি তাঁর নাম না নিয়ে আক্রমণ করছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। সম্প্রতি, তাঁর নাম না নিয়েও তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করলেন। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা গেল যে, দাদার অনুগামীরা যেন দাদার সঙ্গেই চলে যায়। দলের সঙ্গে যারা বেইমানি করবে, তাদেরকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হবে না।

গতকাল বৃহস্পতিবার তৃণমূলের এক দলীয় সভায় সরাসরি নাম না নিয়েও শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে একাধিক বিরূপ মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীকে একেবারে তুই-তোকারি ভাষায় আক্রমন করে তিনি জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী না থাকলে তাঁকে পৌরসভার কাছে আলু বিক্রি করতে হতো। এরপর শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের প্রতি তিনি জানালেন যে, তাঁর অনুগামীরা যেন তাঁর সঙ্গেই চলে যায়। এর হিসেব পরে বুঝবেন তাঁরা। তাঁর হুঁশিয়ারি, তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করলে ঘরে ঢুকতে দেয়া হবে না।

এরপর সরাসরি নাম না করেও শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যাপক বিষেদাগার করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সম্পর্কে তিনি জানালেন, ” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বিক্রি করতিস।” এদিকে ১০ ই নভেম্বর নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর শহীদ স্মরণ সভা করার পরেই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যেতে দেখা গেল ভোট কুশলী পিকেকে। তবে কর্মসূচি থাকার কারণে বাইরে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি পিকের। তবে, শিশির অধিকারীর সঙ্গে গতকাল কথা বলেছেন পিকে। পরে তিনি জানিয়েছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। তবে গতকাল কেন তিনি শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে গিয়েছিলেন? সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া বার্তা দিতে গেছেন? নাকি তাঁকে বুঝিয়ে দলে ফেরাতে গেছেন? সে বিষয়ে নিয়ে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। এ বিষয়ে তিনি যেমন কিছু জানান নি, তেমনি এ বিষয়ে নিরুত্তর অধিকারী পরিবারও।

এদিকে গতকাল প্রশান্ত কিশোর তাঁর বাড়িতে যাওয়ার আগেই শুভেন্দু অধিকারী দল ও দলনেত্রীর নাম করেছিলেন। গতকাল ঘাটালের বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে দল ও দলনেত্রীর ও স্মৃতিচারণা করেছিলেন তিনি। তবে এই সভাতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমরাই জিতব, দেখবি, জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।” এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শোরগোল ফেলে দিল রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিপূর্বে তাঁকে নিয়ে পরোক্ষ ভাবে মন্তব্য করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক নেতার বক্তব্যে বাড়ছে নানা জল্পনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!