এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নন্দীগ্রাম মামলা নিয়ে বিশেষ সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের, টানটান উত্তেজনা রাজনীতি মহলে

নন্দীগ্রাম মামলা নিয়ে বিশেষ সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের, টানটান উত্তেজনা রাজনীতি মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপি করা হয়েছে, এই অভিযোগ এনে গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে শুনানি পিছিয়ে দেয়া হলো। জানা যাচ্ছে, আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হতে চলেছে।

আজ হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়েছিলেন যে, শুনানির সময় মামলাকারীদের আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়। সেসময় মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, আইনে যা বলা আছে, সেই অনুযায়ীই তাঁরা চলবেন। এরপর আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ, আরও ১ সপ্তাহ চলবে টানটান উত্তেজনা রাজনীতি মহলে।

গত,২ রা মে নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করে ছিল টানটান উত্তেজনা। প্রথমে জানা যায়, ১২০০ এর কাছাকাছি ভোটে জয়লাভ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিকেলের পর জানানো হয়, ১৯৫৬ ভোটের ব্যবধানে তাঁকে পরাস্ত করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে ঘাসফুলের জয়জয়কার চললেও নন্দীগ্রামের পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে খবর আছে যে, ভোটের ফল ঘোষণার পর কারচুপি করা হয়েছে। সেটা তিনি খুঁজে বের করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন তিনি। তিনি জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮০, ৮০এ, ৮১, ১০০,১২৩ নম্বর ধারায় মামলা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী ঘুষ দিয়েছেন। নিজের প্রভাব খাটিয়েছেন তিনি। জনগণের মধ্যে তিনি বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন। ধর্মের ভিত্তিতে তিনি ভোট চেয়েছেন। সরকারি আধিকারিকদের সাহায্য নিয়েছেন তিনি। তিনি বুথ দখল করেছেন। রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়েও একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে।

তাঁর এই পিটিশন প্রসঙ্গে বিজেপির আইটি সেলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত মালব্য টুইট করে জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে দুবার একটি নির্বাচনে হারবেন? প্রথমত, জনতার রায়তে তিনি হেরে গেছেন। তারপর সেই হার মেনে নিতে না পেরে জনতার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে পরাজয়ের অপমান দ্বিতীয়বার সহ্য করতে দেখাটা খুবই মজার। অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে পরাজয়ের পর অন্য জায়গায় দাঁড়াবেন বলে ঠিক করে নিয়েছেন। কারণ তিনি জানেন, যা হয়েছে তা ঠিকই হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!