এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “নন্দীগ্রামে নেত্রী ইমোশনালি দাঁড়িয়েছেন” দলে থেকেও বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ! দলবদলের জল্পনা তুঙ্গে!

“নন্দীগ্রামে নেত্রী ইমোশনালি দাঁড়িয়েছেন” দলে থেকেও বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ! দলবদলের জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –শুভেন্দু অধিকারী অনেকদিন আগেই যোগদান করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তারপর তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরের পতাকা নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। কিন্তু অধিকারী পরিবারের বাকি দুই সদস্য অর্থাৎ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী কবে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করবেন, তার দিকে রীতিমত তাকিয়েছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি অমিত শাহের সভা থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছেন শান্তিকুঞ্জের বড়কর্তা তথা তৃণমূল সাংসদ প্রবীণ রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারী।

কিন্তু অধিকারী পরিবারের অন্যতম সদস্য তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী শান্তিকুঞ্জের মধ্যে থেকে একাই কি তাহলে তৃণমূলের হয়ে ব্যাটিং করবেন! তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। তবে এই পরিস্থিতিতে বুধবার কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা থেকেই দিব্যেন্দু অধিকারীও গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে নিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজেপির সভা মঞ্চে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি দিব্যেন্দুবাবুকে।

স্বাভাবিক ভাবেই তিনি কি তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসেই থাকছেন! তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। কিন্তু যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য রাখছেন, ঠিক তখনই তৃণমূলে থাকা অবস্থাতেও নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাঁড়ানো যে একেবারেই উচিত হয়নি, সেই ব্যাপারে মন্তব্য করে রীতিমত শোরগোল ফেলে দিলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম আসনে দাঁড়ানো একেবারেই ভুল। উনি ইমোশনালি দাঁড়িয়েছেন। এই কাজটা একেবারেই ঠিক হয়নি। ” অর্থাৎ যে দলের সর্বময় নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই দলের নেত্রীর সিদ্ধান্তকেই রীতিমত ভুল বলে দিব্যেন্দু অধিকারী যে বিদ্রোহ শুরু করে দিলেন, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকেরা বলছেন, পরিবারের সকল সদস্যের হাতেই এখন পদ্মফুল রয়েছে। শুধুমাত্র দিব্যেন্দুবাবু এখনও পর্যন্ত জোড়া ফুলে রয়েছেন। তবে নির্বাচনের মুখে এই রকম মন্তব্য করে তিনি দলের অন্যতম সৈনিক হিসেবে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি যথেষ্ট পরিমাণে বাড়িয়ে দিলেন। দলের মধ্যে থেকে দিব্যেন্দুবাবুর এই মন্তব্য ঘাসফুল শিবিরকে যেমন অস্বস্তিতে ফেলবে, ঠিক তেমনই বিরোধীদের হাতে বাড়তি হাতিয়ার তুলে দিতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী অত্যন্ত কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের এক এক করে বিজেপিতে যোগদান করাচ্ছেন তিনি। অর্থাৎ একেবারে সকল সদস্যদের একবারে বিজেপিতে যোগদান না করিয়ে ধীরে ধীরে তৃণমূলের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি।

আর সেই কারণেই শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পরেও, দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা চললেও তাকে বিজেপিতে নাম লেখাতে দেখা যায়নি। উল্টে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ভুল বলে দলের মধ্যে থেকেই দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ। যা নির্বাচনের মুখে তৃনমূলকে যথেষ্ট বেগ পাইয়ে দেবে বলেই দাবি পর্যবেক্ষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!