এক দশক পর নিজেকে “নির্দোষ” প্রমাণ করার প্রক্রিয়া নন্দীগ্রাম থেকেই শুরু করলেন লক্ষন শেঠ মেদিনীপুর রাজ্য May 9, 2019 বাম আমলে দাপুটে নেতা থাকার সময় তার হাত দিয়েই নন্দীগ্রামে ব্যাপক সন্ত্রাস হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপর থেকে সাধারণের চোখে কিছুটা হলেও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েন লক্ষ্মণ শেঠ। আর এরপর গত 2009 সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়ে আর সেই ভাবে নন্দীগ্রামে দেখা যায়নি সেই লক্ষনবাবুকে। কিছুদিন আগেই বাম শিবির ত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লেখানোর পর সেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গেও সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। আর এরপরই তমলুকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে সেই লক্ষ্মণ শেঠের নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। আর অবশেষে বুধবার প্রায় এক দশক পর নন্দীগ্রামের নির্বাচনী প্রচারে গেলেন লক্ষ্মণ শেঠ। কিছু প্রচারে গেলেও কার্যত ফাকা সভাতেই এদিন বক্তৃতা দিতে হল তাকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিনের সভা লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত করা হলেও নিজেকে নন্দীগ্রাম কাণ্ডে দোষী প্রমাণ করানোর জন্যই আপ্রাণ চেষ্টা করেন লক্ষণবাবু। সভায় উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, “আমাকে বলা হয় নন্দীগ্রাম কাণ্ডের খলনায়ক। কিন্তু আমি দোষী নই। তৃণমূল আমাকে ফাঁসিয়ে জেলে পাঠিয়েছিল। আমি নির্দোষ। আমি সেই সময় না পুলিশমন্ত্রী না মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম।” এদিকে প্রায় এক দশক পর নন্দীগ্রামে লক্ষ্মণ শেঠের এই সভাকে ঘিরে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপি সভাপতি প্রদীপ দাস বলেন, “নন্দীগ্রামে বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে বলেই এখন তৃনমূল লক্ষন শেঠকে সুযোগ করে দিয়েছে। কেননা লক্ষ্মণ শেঠ যদি ভোট কাটে তাহলে তৃণমূলের সুবিধা হবে বলে ওরা মনে করছে।” তবে বিজেপির এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আবু তাহের বলেন, “এদিন আমাদের হলদিয়ায় বিশাল বড় সমাবেশ ছিল। সেখানে সকলে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী। তৃণমূল কংগ্রেস একাই একশো, জেতার জন্য আমাদের অন্য কাউকে দরকার নেই।” আপনার মতামত জানান -