এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > ঘটনার 13 তম বর্ষে এসে নন্দীগ্রামের সব মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি হেভিওয়েট মন্ত্রীর

ঘটনার 13 তম বর্ষে এসে নন্দীগ্রামের সব মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি হেভিওয়েট মন্ত্রীর

 

সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের কেমিক্যাল হাব বিরোধী আন্দোলনে তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকারকে রীতিমতো লেজেগোবরে করে ফেলেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই নন্দীগ্রামের আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিল মেদিনীপুর জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ মন্ত্রিসভায় পরিবহন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

তাই 10 নভেম্বর নন্দীগ্রাম দিবসে নন্দীগ্রামে গিয়ে সেখানকার মানুষকে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। সূত্রের খবর, রবিবার নন্দীগ্রামের গোকুলনগর পল্লীতে 13 তম রক্তস্নাত ঘটনার শহীদদেরকে সম্মান জানিয়ে একটি অনুষ্ঠান পালন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রথমেই শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন শুভেন্দুবাবু ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক ব্লক এবং জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অনুষ্ঠানে গিয়ে জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা যারা নন্দীগ্রামে জমি রক্ষার আন্দোলনে ছিলাম, তাঁরা 7 জানুয়ারি, 14 ই মার্চ এবং 10 নভেম্বর এই তিনটি দিন কালো পতাকা নিয়ে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’র ব্যানারে সামনে দিকে সমবেত হব এবং শহীদদের শ্রদ্ধা জানাব। 2007 সালের এই দিনে সকাল সাড়ে দশটা, এগারোটা নাগাদ শ্যামলী মান্না, রেজাউল করিম শহীদ হয়েছিলেন। 11 জনকে তুলে নিয়ে চলে গিয়েছিল। তাদের নিখোঁজ বলা হত। এখন তাদের মৃত বলা হচ্ছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে দিন তৎকালীন সিপিএম নেতা তপন ঘোষ এবং শুকুর আলীকেও একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “গড়বেতায় তৎকালীন সিপিএমের সম্পাদক তপন-শুকুররা কল্পনা মুনিয়াল, যাদব পালদের গুলি করে এগড়া দিয়ে নিয়ে গিয়ে গরবেতা পালাচ্ছিল। জনগণ তাদের ধরে ফেলেছিল। তখন যাদের 10-12 বছর বয়স ছিল, আজকে তারাই নতুন প্রজন্ম। অতীত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই। অতীত ভুলে গেলে চলবে না। অতীত ভুলে গেলে ভবিষ্যৎ ভালো হবে না।”

এদিন নিজের বক্তব্যে নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি ১৩ তম নন্দীগ্রাম দিবসে আন্দোলনকারীদের ওপর থেকে সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামে জমি রক্ষার আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হওয়া 360 টি মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। নন্দীগ্রাম, খেজুরি থানা মিলিয়ে 25 টি মামলা প্রত্যাহার করতে বাকি ছিল। তার মধ্যে পুজোর ছুটির আগে গত মাসে 10 টি মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। 15 টি মামলা বাকি রয়েছে। ক্যাবিনেটের নোট পেয়েছি। তাতে আমি আশাবাদী, আরও ছটি মামলা প্রত্যাহার করতে পারব। বাকি নটির জন্য আইনি লড়াই লড়তে হবে। নিশ্চিত থাকুন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে যাতে সমস্ত মামলা প্রত্যাহার হয়ে যায়, সেজন্য আইনি লড়াই চলবে।”

রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃনমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক উত্থানের মধ্যে অনেকগুলো কারণের মধ্যে প্রধান কারণ ছিল, সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রাম। কিন্তু কালের নিয়মে সেই সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামবাসীদের থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তৃণমূল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনে সিঙ্গুর অধ্যুষিত হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে জয়যুক্ত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

পাশাপাশি মেদিনীপুরেও ব্যাপক উত্থান ঘটেছে ভারতীয় জনতা পার্টির। তাই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে মাঠে নেমে পড়েছেন শুভেন্দুবাবু। বস্তুত, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের সেই আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই দলের তরফ থেকে সেই গুরু দায়িত্বভার শুভেন্দুবাবুর বহন করছেন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!